ভাতের ফ্যানের অনেক কাজ। হ্যাঁ আপনি হয়তো বলবেন আগেকার দিনে যখন টানাটানির সংসারে বেশি কিছু রান্না হতো না তখন ভাতের ফ্যান দিয়ে ভাত খেয়ে অনেকে বেড়ে উঠেছিলেন। এ কথা সত্যি, কিন্তু বর্তমানে তেমন আর অসুবিধা হয়তো কারো নেই, তাই ভাতের ফ্যান আমরা ফেলে দি। কিন্তু জানেন কি ভাতের ফ্যানের কত কাজ, ভাতের ফ্যান নানা কাজে আপনি ব্যবহার করতে পারেন, আমাদের Hoophaap এর পাতায় চটজলদি দেখে ফেলুন কিভাবে আপনি ভাতের ফ্যানকে ব্যবহার করবেন।
১) ত্বক উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে ভাতের ফ্যান – ত্বক উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। আপনি যদি রোজ একটু করে তুলোয় করে নিয়ে মুখে লাগাতে পারেন, তাহলে আপনার ত্বক হবে ভীষণ পরিষ্কার। আমরা এই ভাতের ফ্যান কখনো ফেলে দি, কোরিয়ানরা রূপচর্চার কাজে ব্যবহার করে তাইতো তারা এত সুন্দরী।
২) চুল ভালো রাখে ভাতের ফ্যান – চুল ভালো রাখতে সাহায্য করে ভাতের ফ্যান। ভাতের ফ্যান চুলে মাখা যায়, তাহলে কিন্তু চুল অনেক সুন্দর এবং স্ট্রেইট হয়।
৩) গাছের সার হিসেবে ব্যবহার করা হয় ভাতের ফ্যান – এই ফ্যান যদি আপনি গাছের গোড়ায় একটু ঠান্ডা করে দিতে পারেন। তাহলে কিন্তু এটি গাছের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি জিনিস। ভাতের ফ্যান ফেলে দেবেন না, ঠাণ্ডা করে গাছের গোড়ায় ঢালুন।
৪) বানিয়ে ফেলুন হোমমেড ময়েশ্চারাইজার – ভাতের ফ্যানের সঙ্গে অ্যালোভেরা জেল এবং তার সাথে সমপরিমাণ ভিটামিন ই অয়েল খুব ভালো করে মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি ফ্রিজের মধ্যে অবশ্যই দেখবেন সাত দিনের মতন রাখতে পারেন। রোজ শুতে যাওয়ার সময় এটি লাগিয়ে শুয়ে পড়ুন, দেখবেন অসাধারণ কাজ করবে। যাদের তৈলাক্ত ত্বকের সমস্যা রয়েছে, তারা ভিটামিন ই অয়েল মেশাবেন না।
৫) ট্যান দূর করবে ভাতের ফ্যান – 3 থেকে 4 টেবিল-চামচ ভাতের ফ্যান তার সঙ্গে পরিমাণ নতুন কাঁচা দুধ, পরিমাণ নতুন গোলাপ জল এবং 1 টেবিল চামচ মধু খুব ভালো করে মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি চোখের তলায় বা মুখে লাগিয়ে ফেলুন, যাদের ত্বকের উপরের ট্যানের সমস্যা রয়েছে, তারা কিন্তু এই রেমেডিটি ব্যবহার করতে পারেন।