Gardening Tips: ব্যবহৃত চা পাতা ফেলে না দিয়ে কাজে লাগান এইভাবে,বাগানে ফিরবে সৌন্দর্য
এখন চলছে পৌষ মাস। বাংলা ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, শীতের মাসের শুরু হয়েছে কিছুদিন আগে থেকেই। দিন প্রতিদিন রাত বাড়লেই নামছে পারদ। সূর্যাস্তের পরেই শীতের চাদরে ধীরে ধীরে ঢেকে যাচ্ছে চারপাশ। ফলে পৌষেই যে বাংলায় শুরু হয়েছে শীতের প্রভাববিস্তার, তা স্পষ্টভাবে বলাই যায়। আর এই শীতের আমেজে সকাল সন্ধ্যে চা পান করতে ভালোবাসেন কমবেশি সকলেই। বলা যায়, শীতের দিনে প্রায় সবসময় চায়ের আমেজ থাকে অনেকের। চা যেন শীতের পরিপূরক।
এদিকে শীতকালে নানা ফুল ফোটে বাগানে। অনেকের ক্ষেত্রে বাগান করার জায়গা না থাকলেও বাড়ির ব্যালকনি বা ছাদে বাহারি ফুলের গাছ লাগিয়ে থাকেন। শীতে যেমন ফোটে গাঁদা, তেমনই ক্যালেন্ডুলা, ডালিয়া ফুলও ফোটে ব্যাপকভাবে। আর এই শীতে ব্যবহৃত চা পাতা দিয়ে তৈরি করা যেতে পারে এইসব ফুলগাছের জৈব সার। তাই চা বানানোর পর সেই চা পাতা ফেলে দেবেন না। বরং এই উপায়ে বাড়িতেই বানিয়ে ফেলুন সার। কিভাবে বানাবেন? দেখে নিন।
বিজ্ঞান বলছে, চা পাতায় বেশি পরিমাণে থাকে নাইট্রোজেন, যেটি গাছের বৃদ্ধি জন্য ব্যাপকভাবে দরকারি একটি জিনিস। এছাড়াও চা পাতায় থাকে ট্যানিক অ্যাসিড। এই ট্যানিক অ্যাসিড মাটোতে মিশলেই তৈরি করে এমন কিছু যৌগ, যা গাছের জন্য পুষ্টি উপাদান বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। তাই চা পাতাকে ব্যবহার করার পর সেটিকে ফেলে না দিয়ে সেটি গাছের গোড়ায় অল্প অল্প করে দিলে তা গাছের বৃদ্ধির জন্য ব্যাপকভাবে উপকারী হবে। একইসঙ্গে গাছে ফুল না ফোটার সমস্যাতেও এটি ব্যাপকভাবে উপকারী হবে।
তবে এক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয় বিশেষভাবে মনে রাখা জরুরি। কখনোই চা পাতাকে সরাসরি গাছের গোড়ায় দেওয়া উচিত নয়। সেটিকে রোদে শুকিয়ে গুঁড়ো করে মাটির সঙ্গে অল্প মিশিয়ে সেই মাটিকে গাছের গোড়ায় দিন। এছাড়াও যে চায়ে চিনি ব্যবহার করা হয়, তা গাছের গোড়ায় দেওয়া উচিত নয়। এতে গাছ মারা যেতে পারে। একইসঙ্গে টি-ব্যাগ কেটে তা গাছের গোড়ায় দেওয়া উচিত নয়। কারণ টি-ব্যাগে অনেক ধরণের রাসায়নিক রয়েছে, যা গাছের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে।