Gazi Abdun Noor: বাংলাদেশের ‘ধর্মীয়’ বিশৃঙ্খলার তীব্র প্রতিবাদ করলেন ‘রাণী রাসমণি’র রাজচন্দ্র!
গাজী আবদুন নূর (Gazi Abdun Noor)-কে রাজনীতি নিয়ে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে মুখ খুলতে দেখা গিয়েছিল। তিনি অভিযোগ করেছিলেন, কিছুদিন ধরে কয়েকটি ফেক প্রোফাইল থেকে তাঁর ফেসবুক পোস্টে কমেন্ট করে ও ইনবক্সে মেসেজ করে তাঁকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। গাজী মেসেজের ধরন দেখে নিশ্চিত এই ধরনের ব্যক্তিরা সম্ভবতঃ জামাত ইসলাম শিবিরের লোক যা বাংলাদেশে সরকারিভাবে অবৈধ ও নিষিদ্ধ। গাজী মনে করেন, এই ধরনের লোকেরা বাংলাদেশের রাজনীতিকে অন্য খাতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। এমনকি তারা বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করছে। এবার বাংলাদেশে তৈরি হওয়া অরাজক পরিস্থিতি নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করলেন গাজী।
বাংলাদেশে চলতি বছর দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে হিন্দু-মুসলিম সংঘাতের সৃষ্টি হয়েছে। কট্টরপন্থী মুসলমানরা দুর্গামন্ডপ ভেঙে দিয়েছেন। মুর্তি নষ্ট করে ফেলা হয়েছে। বাংলাদেশের ইস্কন মন্দিরটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। একাধিক হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মেরে ফেলা হয়েছে। কিন্তু নরমপন্থী মুসলমানরা এই ঘটনার অত্যন্ত নিন্দা করেছেন। তবুও হিন্দুরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে মুসলমানদের দিকে আঙুল উঠছে। তবে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে হিন্দু ও মুসলমানদের জাতি নিয়ে উস্কানি দেওয়া হচ্ছে বলে মনে করেন গাজী আবদুন নূর। তাঁর ফেসবুক পোস্টে গাজী লিখেছেন, হিন্দু মরলে হিন্দু কষ্ট পাবে, এই কথা না ভেবে মানুষ মরলে মানুষ কষ্ট পাবার কথা ভাবতে। তিনি মনে করেন, প্রতিটি পরিবারে মানবিকতার শিক্ষা দেওয়া উচিত।
View this post on Instagram
গাজীর পরিবারের অধিকাংশ সদস্যরাই মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের কাহিনী গাজীকে প্রভাবিত করেছে। তিনি তাঁর দেশের মানুষের সঙ্গে সশরীরে থাকতে চান। ধর্মকে প্রাধান্য দেন না তিনি। তিনি তাঁর অনুরাগীদের কাছে আবেদন জানিয়েছেন, ফেসবুকে তাঁর পোস্টের নিচে কমেন্ট করে প্রতিবাদ না করে সশরীরে এই ধরনের অরাজকতা বিরুদ্ধে সশরীরে প্রতিবাদ জানাতে।
গাজী এর আগেও বলেছিলেন, বাংলাদেশে বর্তমান রাজনৈতিক ব্যবস্থা, ধর্মীয় অনুশাসন, সমাজ ব্যবস্থার ফলে বিভ্রান্ত হচ্ছে আগামী প্রজন্ম। এই পরিস্থিতির সুযোগ নিতে চাইছে পাকিস্তান। ফলে এই প্রজন্মের কাছে বাংলাদেশের ইতিহাস সঠিকভাবে পৌঁছাচ্ছে না। এই কারণে আবারও মুসলিম ধর্মের দোহাই দিয়ে অনেকে পাকিস্তানকে সমর্থন করছেন। গাজী মনে করেন, তাঁরা পাকিস্তানি উদ্বাস্তু, যাঁরা এই কাজ করছেন। তাঁরা বাংলাদেশ চান না। কিন্তু গাজী লিখেছেন, একাত্তর ছিল, থাকবে। বাংলাদেশ ছিল, থাকবে।