Durga Puja Skin Care: পুজোর আগে ত্বক আর চুল হবে সুন্দর, জেনে নিন সহজ টিপস
সামনেই পুজো আসছে আর পুজোর সময় যদি নিজেকে অনেক বেশি সুন্দর করতে চান, তাহলে চারটি নিয়ম আপনাকে মেনে চলতে হবে। পুজোর সময় এমনিতেই আমরা অনেক অনিয়ম করি, এই অনিয়মের জন্যই কিন্তু আমাদের ত্বকের উপরে অনেক বেশি এফেক্ট করে, তাই প্রচুর আগে থেকেই যদি আমরা ত্বক সুন্দর করতে পারি বা কয়েকটা নিয়ম মেনে চলতে পারি, তাহলে কিন্তু আমাদের ত্বক এবং চুল দুটোই ভীষণ সুন্দর থাকবে।
ত্বক, চুল যদি সুন্দর রাখতে চান? তাহলে নিচের বলা কয়েকটা টিপস আপনাকে সহজেই মেনে চলতে হবে। এই সহজ টিপস গুলো আপনি যদি মেনে চলতে পারেন, তাহলে আপনার ত্বক হবে দুধে মতন ফর্সা, আর চুল হবে কালো কুচকুচে নতুন চুল গজাবেও সহজ হবে। পুজোর আগে মেনে চলুন সহজ কয়েকটা টিপস।
তবে উপর থেকে লাগানোর পরও আপনাকে এমন কিছু কিছু জিনিস খেতে হবে বা এমন কিছু কিছু জিনিস মেন্টেন করতে হবে যার জন্য আপনি ভেতর থেকেই অনেক সুন্দর থাকবেন। হবে আর দেরি না করে চটপট দেখি নিন কিভাবে পুজোর সময় আপনি নিজেকে একেবারে সুন্দরী করে তুলতে পারবেন। ১) ক্লিনজিং, টোনিং, ময়েশ্চারাইজিং তিনটের দিকে ভীষণ ভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে। কারণ ত্বকের ওপরে যদি ময়লা পড়ে যায় তাহলে আপনি তার ওপরে যা কিছুই মাখবেন তা কিন্তু মোটেই দেখতে সুন্দর লাগবে না। ২) সপ্তাহে অন্তত দুবার স্ক্রাবিং করতে হবে। এর জন্য বেছে নিতে হবে। চালের গুঁড়ো এবং চিনি দুটোকে খুব ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে কাঁচা দুধ এর সঙ্গে ব্যবহার করতে পারেন। ৩) সপ্তাহে অন্তত তিন দিন ভালো করে ফেসপ্যাক লাগাতে হবে। তবে ফেসপ্যাক শুধুমাত্র মুখের জন্য নয়, গলা, ঘাড় পিঠ অর্থাৎ পুজোর সময় যদি আপনি অনেক বেশি জামা কাটা জামাকাপড় পরে তাহলে আপনার শরীরের অনেক অংশই কিন্তু উন্মুক্ত থাকবে, সেক্ষেত্রে সেই জায়গাগুলো রোদে পুড়ে যাওয়া এবং ময়লা হওয়ার সম্ভাবনা অধিকাংশ বেড়ে যাবে। ৪) প্রচুর পরিমাণে জল খেতে হবে, পারলে বাইরের খাবার একটু কম খেতে হবে। প্রচুর চারটে দিন বাদ দিয়ে কিন্তু একেবারে বাড়ির রান্না খেতে হবে। পরিমাণ মতন ফল খেতে হবে এবং জলের পরিমাণ অতিরিক্ত বাড়িয়ে দিতে হবে, যার ফলে আপনার শরীর থেকে খুব টক্সিন সহজেই বেরিয়ে যেতে পারে।
চুলের সমস্যা সর্বজনীন সকলের। চুলের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে অনেক সময় এবং ধৈর্যের প্রয়োজন। বর্তমানে মানুষের হাতে সময় আর ধৈর্য দুটোই কমে গেছে। প্রত্যেকেরই চুল পড়া, চুল পাতলা হওয়া, খুশকি, চুল পাকা হয়ে যাওয়া এবং অন্যান্য অনেক সমস্যার মতো চুলের বিভিন্ন সমস্যা রয়েছে। আপনি যদি সুন্দর চুল চান তবে মাথার ত্বক এবং চুলের সমস্যা এড়াতে নিয়মিত যত্ন নেওয়া উচিত।
আপনার চুলের যত্ন নেওয়ার আগে, চুল সম্পর্কে কিছু প্রাথমিক কথা। চুল প্রোটিন, কেরাটিন এবং সালফার দিয়ে তৈরি হয়। প্রোটিন, ভিটামিন, ক্যালসিয়ামের কিছু ঘাটতি থাকলে আপনার চুল পড়া, খুশকি দেখা দিতে পারে। বিভিন্ন তেল, শ্যাম্পু এবং জেল ব্যবহার করা সবসময় আপনার চুলের সমস্যার সমাধান হতে পারে না, কখনও কখনও সহজ ঘরোয়া পেঁয়াজের রসের মতো প্রতিকার কার্যকর হতে পারে। বহু আগে থেকেই আমরা পেঁয়াজের রস কে চুলের জন্য ব্যবহার করে থাকি। পেঁয়াজ আপনার চুলের সমস্যার জন্য কার্যকর ঘরোয়া প্রতিকার হতে পারে। যদি পেঁয়াজের গন্ধ পছন্দ না করতে পারেন তবে পেঁয়াজের সঙ্গে মিশিয়ে নিতে পারেন অন্য কিছু। পেঁয়াজে অনেক অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল রাসায়নিক রয়েছে যা সুন্দর করতে সাহায্য করবে।
১) পেঁয়াজের রস এর মধ্যে যে উপাদান গুলি থাকে যা ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে এবং আপনার চুলকে সুস্থ ও চকচকে রাখতে পারে। ২) পেঁয়াজের রসে প্রচুর পরিমাণে সালফার থাকে, যা চুল ভেঙ্গে যাওয়া এবং পাতলা হওয়া রোধ করে। চুলের বৃদ্ধির জন্য সালফার অপরিহার্য।৩) পেঁয়াজের রসে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা চুলের অকাল পেকে যাওয়া রোধ করতে সাহায্য করতে পারে।৪) পেঁয়াজ আপনার চুলের পুষ্টি জোগাতে এবং চুল পড়া রোধ করতে সাহায্য করে।৫) পেঁয়াজের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য মাথার ত্বকের সংক্রমণ এবং খুশকি প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে।৬) পেঁয়াজের রস দিয়ে ম্যাসাজ করলে আপনার মাথার ত্বকের রক্ত সঞ্চালন হয়, চুল সুন্দর হয়।
চুল পড়া রোধ করুন –
সালফার থাকার কারণে চুল পড়া রোধে পেঁয়াজের রস। এটি আপনার চুলকে গোড়া থেকে শক্ত পোক্ত করে তাই অবশ্যই পেঁয়াজের রস ভালো করে মাথায় মাখুন।
চুলের অকাল পাকা হওয়া রোধ করুন
পেঁয়াজের রসে ক্যাটালেজ নামক একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান রয়েছে, যা চুলের গোড়ায় হাইড্রোজেন পারক্সাইড কমাতে সাহায্য করে। হাইড্রোজেন পারক্সাইড চুল ধূসর হতে পারে, তাই এর মাত্রা কমিয়ে আপনি চুল পাকা হওয়া রোধ করতে পারেন।
শুষ্ক চুলকে পুষ্টি ও ময়শ্চারাইজ করতে
পেঁয়াজের রসে বিভিন্ন উপকারী উপাদানের উপস্থিতির কারণে, এটি আপনার শুষ্ক, ভঙ্গুর চুলকে পুষ্ট করে। এতে রয়েছে ফ্ল্যাভোনয়েড, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য যা চুলের গোড়ায় রক্ত সরবরাহ বাড়ায়।
খুশকি থেকে মুক্তি পাবেন
খুশকি সবচেয়ে সাধারণ এবং বিরক্তিকর সমস্যা।খুশকি আপনার মাথার ত্বকের ত্বক শুষ্ক এবং চুলকানির কারণ হতে পারে। পেঁয়াজের রসে অ্যান্টি-ফাঙ্গাল এবং অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা খুশকি দূর করতে সাহায্য করতে পারে।