Hair Care: চুলে উকুনের উপদ্রব কমাতে হাতে তুলে নিন পাঁচটি ঘরোয়া উপাদান, ব্যথা ছাড়াই পাবেন উপকার
নিউ ইয়ার আসছে, আর কোন কারনে যদি মাথায় হঠাৎ করে উকুন ঢুকে যায়, বিশেষ করে মহিলাদের যাদের মাথায় অনেক বড় চুল আছে। তাদের কিন্তু সেই উকুনকে শেষ করা সত্যিই খুব অসুবিধা জনক হয়ে যায়। তাই এই উকুনকে যদি সহজেই পরিষ্কার করতে চান, তাহলে বাজার চলতি কোনো রকম তেল নয়, কারন এই বাজার চলতি তেলে হয়তো
সাময়িকভাবে উকুন চলে যায় কিন্তু চুলের দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতি হয়ে যায়। মাথার উকুন থাকলে শুধু যে নিজের অসুবিধা হয়, তাই নয়, সৌন্দর্য অনেকটা নষ্ট করে দেয়। তাছাড়া অপরিষ্কার মাথাতেই উকুন বেশি থাকে। তাই উকুন কেন আসছে তা আগে জানতে হবে। অনেক সময় মাথা যদি অপরিষ্কার থাকে বা অনেক সময় অপরিষ্কার লোকের মাথা থেকে আপনার পরিষ্কার মাথায় উকুন চলে আসে।
উকুন যাতে আপনার চুলে বাসা বাঁধতে না পারে সেই জন্য আপনাকে কতগুলি ব্যবস্থা প্রথমেই নিতে হবে –
১) সারাদিনে অন্তত দুই থেকে তিনবার চুল ভালো করে আঁচড়াতে হবে।
২) কি কারনে মাথা চুলকাচ্ছে মাথার ভেতরে ঘাম জমছে খুশকি হচ্ছে না অন্য কারণে তা আগে দেখে নেবেন।
৩) যদি দেখেন আপনার পাশে এমন কোন মানুষ আছে যার মাথায় উকুন আছে, সেখান থেকে একটু দূরে থাকার চেষ্টা করবেন।
৪) সদা পরিষ্কার থাকতে হবে, কারণ আমরা যদি একটু দেখি তখন খেয়াল করব সবসময় নোংরা মাথাতেই কিন্তু উকুন বাস করে।
তাই উকুনকে প্রথমেই বাসা বাঁধতে দেবেন না, তাহলেই কিন্তু দিনে দিনে ডিম পারবে এবং অস্বস্তিকর একটা পরিস্থিতি তৈরি করবে। তবে একবার যদি উকুন হয়ে যায়, তখন ঘরোয়া কিছু উপাদান ব্যবহার করে উকুনকে একেবারে দূর করতে পারেন, তাই আর দেরি না করে দেখে ফেলুন কিভাবে একেবারে বাড়িতে থাকা কয়েকটা সহজ জিনিস দিয়ে আপনি সহজে উকুন মাথা থেকে বার করে ফেলতে পারবেন।
১) নিম তেল – প্রথমে নারকেল তেল ভালো করে গরম করে নিতে হবে। তারপর এর মধ্যে একমাত্র নিমপাতা দিয়ে ভালো করে ফোটাতে হবে। তারপর ছেঁকে নিতে হবে, এই তেল উকুনের জন্য ভীষণ ভালো, উকুন মরে যাবে। সহজেই তেল মাথায় ভালো করে দিয়ে সরু চিরুনি দিয়ে আঁচড়ে ফেলুন, দেখবেন উকুন চলে যাবে নিমেষে।
২) কর্পূর তেল- নারকেল তেলের মধ্যে কর্পূর খুব ভালো করে ফোটাতে হবে, তারপর এই মিশ্রণটি চুলের চুলের গোড়ায় গোড়ায় লাগিয়ে নিতে পারেন। তাহলে দেখবেন আপনার চুল কত শক্ত পোক্ত থাকবে।
৩) সরু দাঁড়ার চিরুনি- এই সবকিছু যদি করতে না পারেন তাহলে একদম সরু চিরুনি দিয়ে খুব ভালো করে চুল আঁচড়াবেন এবং যদি তেল মাখা থাকে, তাহলে অনেক ভালো হয়। এই চিরুনির মধ্যেই দেখবেন খুব সহজেই উকুন বেরিয়ে আসছে।
৪) চুল পরিষ্কার রাখুন – চুলকে যদি সপ্তাহে অন্তত তিন থেকে চারদিন ভালো করে পরিষ্কার করে ধুতে পারেন, তাহলেও কোন সমস্যা অনেকটা চলে যাবে, উকুন কিন্তু নোংরা চুলেই বেশি বাসা বাঁধতে পারে। তাই আপনার চুল গুলো পরিষ্কার হয় তাহলে চুলে কোন রকম উকুন আসতে পারবে না।
৫) যদি কিছুই না করতে পারেন তাহলে একটা জিনিস খুব সহজেই করতে পারেন, তাহলেও ভিজে চুল আঁচড়ানো যেকোনো সরু দাড়ার চিরুনি দিয়ে স্নান করার পরে চুল ভালো করে না শুকিয়ে সেই ভিজে চুল যদি আঁচড়াতে পারেন তাহলে কিন্তু উকুন সহজেই বেরিয়ে যাবে।