Payel Deb: প্রেমের কারণে মায়ের সঙ্গে তুমুল অশান্তি বাঁধিয়েছিলেন ‘এই পথ যদি না শেষ হয়’-এর মুমু দিদি
কম বয়সে প্রেমের জ্বালায় জ্বলেছেন কখনো? উত্তরে অনেকেই বলবেন – হ্যাঁ। কারণ, কৈশোর ও যৌবনের গতিপথ এতটাই প্রভাবশালী হয়, এবং আমাদের হরমোনের তারতম্য এতটাই বেড়ে যায় যে আমরা প্রেমে পড়ি। বেশি ইমোশনাল হয়ে যাই, অল্পতে অন্যকে ভরসা বিশ্বাস করতে শুরু করি। অনেকে, এই ধরনের ছেলে মেয়েকে বলে বুদ্ধি নেই, বাচ্চা প্রেম করে ফেলেছে। কেউ বলে ইচড়ে পাকা। নানান মানুষ নানান কথা বললেও এই সময়টা হল পিক টাইম, এই সময় যদি কোনো বাবা মা রাশ টানেন বন্ধু বেশে, তবেই ছেলে মেয়েদের মতি ফেরে নয়তো তাদের জীবন কঠিন অঙ্ক হয়ে যায়। ঠিক যেমনটা হয়েছিল ছোট পর্দার অভিনেত্রী পায়েল দেব ( Payel Deb) এর সঙ্গে। পায়েলের জীবনের গল্প জানার আগে ছোট করে পরিচয় করে নিই পায়েলের সঙ্গে।
‘কে আপন কে পর’ ধারাবাহিকে পায়েল ছিলেন অনু চরিত্রে, এখন সেই পায়েল অভিনয় করছেন ‘এই পথ যদি না শেষ হয়’-এর মুমু দিদি চরিত্রে। এছাড়া একটি সিনেমাতেও কাজ করেছেন পায়েল। সম্প্রতি, পায়েলের জীবনের এক কঠিন সময়ের কথা ফাঁস হল ‘দিদি নং ওয়ান’ মঞ্চে। অভিনেত্রী পায়েল তার মায়ের সঙ্গে আসেন দিদি নং ওয়ান স্টেজে। সেখান থেকেই জানা যায় পায়েল কিরকম ধরনের মানুষ ও ঠিক কী ঘটেছিল তার জীবনে।
পায়েলের মায়ের কথায়, ইন্ডাস্ট্রিতে আসার পরেই প্রেমে পড়েন পায়েল। প্রেমে অন্ধ হয়ে যায় পায়েল। প্রেমিকের জন্য বাড়ির মানুষদের বিরুদ্ধে গিয়েছিলেন একটা সময়। তাছাড়া পায়েলকে দেখে সকলেই বলতেন যে তিনি যার সঙ্গে প্রেম করছেন সেই মানুষটা সঠিক না। ঠিক তখনই সেই ব্যাক্তি চক্ষুশূল হতো পায়েলের। প্রেমিকের সম্পর্কে এতটুকু খারাপ কথা শুনতে নারাজ ছিলেন পায়েল। এত গভীর প্রেম হওয়ার পরেও সেই প্রেম ভেঙে যায়।
পায়েলের মায়ের কথায়, মেয়ে তখন অন্যরকম হয়ে গিয়েছিল। মেয়ে এখন ফিরেছে। এই মুহূর্তে পায়েল সিঙ্গেল এবং দিদি নং ওয়ান মঞ্চে রীতিমত চোখের জল ফেলতে ফেলতে পায়েল বলেন যে সেই মানুষটা তাকে ঠকিয়ে অন্য আরেকজনের সঙ্গে প্রেম করেন এবং সম্পর্ক ভাঙেন। তবে, এই মুহূর্তে পায়েল এক্কেবারে সিঙ্গেল এবং একেবারেই তৈরি নন নতুন করে সম্পর্কের জন্য।
তাহলে কি বুঝলেন, অল্প বয়সে প্রেম করলে কি হতে পারে? কম বয়সে হৃদয় দু টুকরো হলে সেই জ্বালা সহ্য করা এতটাই কঠিন হয়ে যায় যে অনেকে সুইসাইড পর্যন্ত করতে যায়। কিন্তু, সেই সময় যদি পরিবার পাশে থাকে এবং নিজেকে সময় দেওয়া যায় তাহলে একটা সময় পর এসে মনে হবে সত্যি বোকা ছিলাম।