বিগত কয়েক বছর ধরে চলচ্চিত্র ও ধারাবাহিকের পাশাপাশি গ্ল্যামার ইন্ডাস্ট্রিতে এক নতুন সংযোজন হয়েছে ওয়েব সিরিজের। আসলে প্রযুক্তির সাথে খাপ খাইয়ে চলতে গিয়ে এখন প্রত্যেকেই ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন ওয়েব সিরিজ দেখতে পছন্দ করেন। আর সব বয়সের দর্শকদের জন্য আলাদা আলাদা কাহিনী ও দৃশ্যপট দিয়ে এই সিরিজগুলোকে আরো বেশি আকর্ষণীয় করে তোলেন নির্মাতারা।
ওয়েব সিরিজ বিষয়টি এখন খুবই আকর্ষণীয় বর্তমান প্রজন্মের কাছে। ওটিটি আসার পর পাল্লা দিয়ে ওয়েবসিরিজের চাহিদা কিন্তু বেড়েই চলেছে। সেই ওয়েব সিরিজ গুলি দেখানো হচ্ছে বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন থেকে। বলা বাহুল্য, বাংলা, হিন্দি এবং অন্যান্য আঞ্চলিক ভাষার বেশ কিছু ওয়েব সিরিজ টেক্কা দেয় বড় বাজেটের সিনেমাকেও। আসলে করোনা পরবর্তী সময় থেকে ডিজিটাল মিডিয়া কদর বুঝে গিয়েছে সাধারণ মানুষ। আর সেই সাথে পাল্লা দিয়ে চলার জন্য জন্ম নিয়েছে একাধিক প্রতিটি প্ল্যাটফর্মের। বর্তমানে এইসব প্ল্যাটফর্মে বিপুল জনপ্রিয়তা লাভ করছে কিছু সিরিজ। এই প্রতিবেদনে ‘এমএক্স অনলাইন’-এর সমস্ত সিজনকে নিয়ে আলোচনা হবে।
● হ্যালো মিনি (সিজন-১): এই রোমান্টিক থ্রিলার ওয়েব সিরিজের প্রথম সিজনের গল্প তৈরি হয়েছে মিনি নামের একটি যুবতীকে নিয়ে। ফারুক কবিরের পরিচালনায় নভোনীল চক্রবর্তীর জনপ্রিয় গল্প ‘ক্রকটেল’ অবলম্বনে এই ওয়েব সিরিজ তৈরি হয়েছে। সেখানে মিনি চরিত্রে অভিনয় করে সকলের মনে জায়গা করে নিয়েছেন অভিনেত্রী অনুজা যোশী (Anuja Joshi)। এই ওয়েব সিরিজটিতে একদিকে যেমন রয়েছে সাসপেন্সে ভরপুর সিন ঠিক তেমনই রয়েছে বিভিন্ন সাহসী দৃশ্য। এই সিরিজের একাধিক দৃশ্য রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে নেটিজেনদের।
● হ্যালো মিনি (সিজন-২): এই সিজনের গল্প শুরু হয় মিনি এবং তার বয়ফ্রেন্ড ড্যানিকে দিয়ে। তারা তাদের স্বপ্নের চাকরি পেয়ে মোটামুটি স্থিতিশীল পর্যায়ে পৌঁছে যায়। এমন সময় এক অপরিচিত ব্যক্তির পাল্লায় পড়ে একটি খেলায় জড়িয়ে পড়ে মিনি। এই খেলায় অপরিচিত কারো সঙ্গে খোলামেলা জায়গায় তাকে শারীরিক সঙ্গম করতে হবে। আর এই খেলা শুরু করায় ফের বদলে যায় মিনির জীবন। এভাবেই গল্প এগিয়ে যায় ক্লাইম্যাক্সের দিকে। এই সিজনে রয়েছে একাধিক সাহসী দৃশ্য। এই সিজনে অনুজা জোশির পাশাপাশি দেখা গেছে প্রিয়া ব্যানার্জী, মৃণাল দত্ত, অংশুল পান্ডে, দর্শনা বণিক, অঙ্কুর রাঠি, গৌরব চোপড়াদের।
● হ্যালো মিনি (সিজন-৩): এই সিরিজের তৃতীয় সিজনের গল্প প্রথম দুটি সিজনের পর থেকেই শুরু হয়েছে। এই সিজনে দেখা গেছে যে মিনি একটি বৈজ্ঞানিক কোম্পানিতে চাকরি পায়। কিন্তু তখনই সে তার প্রিয় বান্ধবীর মৃত্যুর বিষয়টি নিয়ে আগ্রহী হয়ে পড়ে এবং সেখান থেকে সে হিয়ার মৃত্যু রহস্য উদঘাটন করে। এছাড়াও এই সময় সেই অপরিচিত ওই ব্যক্তির পরিচয় খুঁজে পায়। এই সিজনের কাস্টিং প্রথম দুটি সিজনের মতোই।
