গোটা বিশ্বে বাঙালির পরিচয় দেওয়া হয় মাছ দিয়ে। মাছ সবথেকে বেশি যদি কোথাও জনপ্রিয় হয়ে থাকে, তা হল বাংলায়। ভারত ও বাংলাদেশ- উভয় দেশের মানুষজন মাছ খেতে ভীষণই পছন্দ করেন। তবে মাছের মধ্যে সবথেকে সুস্বাদু হল ইলিশ (Hilsa)। ইলিশ মাছের নামেই তো অনেকের জিভে জল এসে যায়। আর বিশেষ উৎসবের দিনে তো ইলিশ হলে কোনো কথাই নেই। এদিকে উৎসবের সময় আসন্ন। আর দিনকয়েক পরেই আসছে দুর্গাপূজা। তাই পুজোর আনন্দের সঙ্গে ইলিশ মিলেমিশে একাকার হয়ে গেলে তো পুজো পুরো জমে যাবে।
এদিকে ইতিমধ্যে বর্ডার পার করে পদ্মার ইলিশ ঢুকেছে বাংলায়। সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহেই রাজ্যে ঢুকেছে বাংলাদেশি ইলিশ মাছ। পেট্রোপল সীমান্ত দিয়ে ৮০ মেট্রিক টন ইলিশ প্রবেশ করেছিল রাজ্যে। সাধারণত স্বাদ ও গন্ধের জন্য পদ্মার ইলিশ হল পৃথিবী বিখ্যাত। আর পুজোর আগেই এই সুস্বাদু রুপোলি ফসলের আগমনের পর থেকেই কার্যত খুশির জোয়ারে ভাসছেন ইলিশ প্রেমীরা। তবে সেই আনন্দে কিছুটা হলেও বাঁধ সেধেছিল ইলিশের দাম। কারণ পদ্মার ইলিশ কিনতে ছ্যাঁকা লাগছিল মধ্যবিত্ত বাঙালির।
তবে অক্টোবর শুরু হতেই ইলিশের দামে ঘটে গেল ব্যাপক পরিবর্তন। কলকাতা সহ আশেপাশের বাজারে সোমবারের পর মঙ্গলবারও চূড়ান্ত সস্তা হল নদীর জলের এই রুপোলি ফসল। আজ কলকাতার একাধিক বাজারে ৩০০ গ্রাম থেকে ৫০০ গ্রাম সাইজের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৫০০ টাকা থেকে ৫৫০ টাকা দামে। তবে ৮০০ গ্রামের উপরের ওজনের প্রমান সাইজের দেশি ইলিশ আজ বিক্রি হচ্ছে ১২০০ টাকা থেকে ১৫০০ টাকা কেজিপ্রতি দরে। কিন্তু পদ্মার ইলিশের দাম আজ রয়েছে ১৫০০ টাকার উপরেই।
তবে ইলিশ সস্তা হলেও সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনে অন্যান্য মাছের দাম কমেনি মোটেও। আজ কলকাতার বাজারে কাতলা মাছের দাম রয়েছে প্রতি কেজিতে ৩৫০-৪০০ টাকা, রুই মাছের দাম রয়েছে প্রতি কেজিতে ২০০-২৩০ টাকা, ভিস্টকই মাছের দাম রয়েছে প্রতি কেজিতে ৫০০-৫৫০ টাকা, পাবদা মাছের দাম রয়েছে ৩৫০-৪০০ টাকা প্রতি কেজিতে, ট্যাংরা মাছের দাম রয়েছে প্রতি কেজিতে ৪০০ টাকা, পমফ্রেট মাছের দাম রয়েছে ৩৫০-৪০০ টাকা প্রতি কেজিতে।
