whatsapp channel

Business idea: দেশের সবথেকে জনপ্রিয় ব্যবসা, আপনিও শুরু করলে আয় হবে প্রতি মাসে লাখ টাকায়

আজকালকার দিনে সবাই চাকরির পাশাপাশি বিকল্প একটা আয়ের রাস্তা তৈরি করার পরিকল্পনা রাখেন। তাই সবারই চাকরির পাশাপাশি একটা ব্যবসা করার প্রবৃত্তি রয়েছে। কিন্তু যে কোন ব্যবসা শুরু করার আগে মানুষকে…

Avatar

Sourish Das

Updated on:

আজকালকার দিনে সবাই চাকরির পাশাপাশি বিকল্প একটা আয়ের রাস্তা তৈরি করার পরিকল্পনা রাখেন। তাই সবারই চাকরির পাশাপাশি একটা ব্যবসা করার প্রবৃত্তি রয়েছে। কিন্তু যে কোন ব্যবসা শুরু করার আগে মানুষকে জানতে হবে তার আশেপাশে সেই ব্যবসার অবস্থাটা কি রকম। এমন অনেক ব্যবসা রয়েছে যেগুলো পৃথিবীর অন্যান্য দেশে ভালো চললেও ভারতে ভালো চলে না। তাই যে কোন ব্যবসা শুরু করার আগে সেই ব্যবসার বাজার সম্পর্কে ভালোভাবে খোঁজ নিয়ে নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আজ আমরা আপনাকে এমনই একটি ব্যবসার আইডিয়া দিতে চলেছি যা ভারতে আপনাকে দারুন মুনাফা দিতে পারে।

আপনারা সকলেই জানেন ভারতীয়রা বিস্কুট খেতে বেশ পছন্দ করেন। যদি শতাংশের হিসেবে যাওয়া যায় তাহলে প্রায় ৯০% ভারতীয় বিস্কুট খেতে পছন্দ করেন। যদি ভারতে বিস্কুটের বাণিজ্যের কথা বলি তাহলে আমাদের দেশে খাদ্য সম্পর্কিত সমস্ত ব্যবসার মধ্যে সবথেকে লাভজনক হলো বিস্কুটের ব্যবসা। আগামী ভবিষ্যতে এই ব্যবসা আরো দ্রুত বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। বাজারে এই মুহূর্তে বেশ কয়েকটি নামকরা বিস্কুটের কোম্পানি থাকলেও, নতুন কোম্পানিরাও যে একেবারে মাঠে মারা যাবে সেরকমটা নয়। এমন পরিস্থিতিতে আপনি এই ব্যবসা শুরু করে একটা ভালো পরিমাণ মুনাফা তুলে নিতে পারেন।

বিস্কুট তৈরি করতে আপনার কতটা খরচ হচ্ছে তার উপরে আপনার ব্যবসার মুনাফা নির্ভর করবে। আপনি যে উপাদানটি ব্যবহার করছেন তার দাম যদি বেশি হয় তাহলে আপনার মুনাফা কম হবে। আর যদি আপনার ব্যবহৃত উপাদানগুলির মূল্য কম হয় তাহলে আপনার মুনাফা বেশি হবে। তবে ভালো পণ্য দিয়েই ব্যবসা শুরু করার চেষ্টা করবেন কারণ যদি আপনি প্রাথমিকভাবে ভালো জিনিস না পেশ করতে পারেন তাহলে পরবর্তীতে আপনার ব্যবসা গ্রো করবে না। এছাড়াও আপনার বিস্কুটের প্যাকেটে দোকানদারকে আপনি কতটুকু লাভ দেবেন সেই বিষয়টাও আপনার মুনাফাকে প্রভাবিত করতে পারে। এই মুহূর্তে বাজারে যে কোম্পানিগুলো রয়েছে তারা ৫ টাকার বিস্কুটের প্যাকেটে সহজেই ২ থেকে ৩ টাকা পর্যন্ত মুনাফা উপার্জন করে থাকে। তাই তাদের সঙ্গে টাকা দিতে হলে আপনাকে মুনাফার পরিমান কম রাখতে হবে।

এই ব্যবসার জন্য বেশ কিছু জিনিসের দরকার লাগবে। এর জন্য আপনার একটা ভালো জায়গা প্রয়োজন। তার সাথেই আপনার প্রয়োজন হবে মেশিন এবং লোকবল। একই সঙ্গে আপনি চাইলে বাজার থেকে এসব মেশিন কিনতে পারেন। যদি আপনি কম দামের মধ্যে মেশিন কিনতে পারেন তাহলে আপনার লাভ বেশি হবে। মেশিন কিভাবে চালাবেন এবং কারেন্টের খরচ কেমন হবে সেটা আপনি যে কোন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে শিখে নিতে পারেন। এছাড়াও বিভিন্ন দোকানে জিজ্ঞেস করলেও আপনি এর ব্যাপারে একটা মোটামুটি ধারণা পেয়ে যাবেন। একটা গড় হিসাব করলে এই ব্যবসা শুরু করতে গেলে আপনার কমপক্ষে ৩৫ লক্ষ টাকা খরচ হবে। যদি আপনার এত টাকা না থাকে তাহলে আপনি ব্যাংক থেকে লোন নিতে পারেন। এছাড়া সরকারের পক্ষ থেকেও ব্যবসা শুরু করার জন্য উৎসাহ দেওয়া হয়ে থাকে।

whatsapp logo