Hilsa Price: যোগান বাড়লেও কেন কমছে না ইলিশের দাম, সামনে এল আসল কারণ
গোটা বিশ্বে বাঙালির পরিচয় দেওয়া হয় মাছ দিয়ে। মাছ সবথেকে বেশি যদি কোথাও জনপ্রিয় হয়ে থাকে, তা হল বাংলায়। ভারত ও বাংলাদেশ- উভয় দেশের মানুষজন মাছ খেতে ভীষণই পছন্দ করেন। তবে মাছের মধ্যে সবথেকে সুস্বাদু হল ইলিশ (Hilsa)। ইলিশ মাছের নামেই তো অনেকের জিভে জল এসে যায়। আর মাছ-প্রেমী বাঙালিরা এ বছর দুর্গাপূজা পর্যন্ত ইলিশ খেতে বলে আশা করা হচ্ছে। কারণ এবার ইলিশের যোগান আগের বছরের তুলনায় অনেক বেশি।
রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী বিপ্লব রায় চৌধুরী বৃহস্পতিবার রাজ্য বিধানসভায় বলেছেন, “গত বছর ইলিশের উৎপাদন হয়েছিল ৫৫৭১ মেট্রিক টন। এ বছর এখন পর্যন্ত উৎপাদন হয়েছে ১১ হাজার মেট্রিক টন। বিভাগটি এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকে জুনের মাঝামাঝি দুই মাসের জন্য মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা নিশ্চিত করেছিল, যার ফলে এই বছর অতিরিক্ত উৎপাদন হয়েছে”। মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা যুক্তিসঙ্গত পরিমাণে ‘খোকা ইলিশ’ জাল আটকাতে বাধা দেয়। এর ফলে বাজারে অন্তত ৫০০ গ্রামের বেশি ওজনের ইলিশের আগমন ঘটেছে।
রাজ্যের মৎস্য বিভাগ আগামী বছর তিন মাসের জন্য মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার পরিকল্পনা করেছে, যা নিশ্চিত করবে যে লোকেরা বাজারে বড় আকারের ইলিশ পাবে। মৎস্যজীবী সমিতির অনুমান অনুযায়ী, এ বছর উৎপাদন ১৭,০০০ মেট্রিক টন ছাড়িয়ে যাবে কারণ বর্ষা সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। কাকদ্বীপ মৎস্যজীবী উন্নয়ন সমিতির সাধারণ সম্পাদক বিজন মাইতি বলেন, “আমরা আশা করি দুর্গাপূজা পর্যন্ত অন্তত ১৫,০০০ মেট্রিক টন জাল পৌঁছাবে। দিঘা-কোলাঘাট বেল্টে, আজ পর্যন্ত ধরা হয়েছে ২৫০ মেট্রিক টন যা পুজো পর্যন্ত ২,০০০-এ যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এই বিষয়ে রাজ্যের প্রাণী সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ বলেছেন যে ছোট মাছ চাষের জন্য তিনি শীঘ্রই রাজ্যের মৎস্য দফতরের কাছে তিন বিঘা পরিমাপের একটি জলাশয় হস্তান্তর করবেন। এটি পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলী-১ ব্লকে বিদ্যাসাগর গয়রামদাস বিদ্যামন্দির স্কুলের পাশে অবস্থিত। রি বিষয়ে তার কথায়, “আমাদের সকলকে নিশ্চিত করতে হবে যে উচ্চ প্রোটিন মান সহ ছোট মাছ আমাদের থালা থেকে হারিয়ে না যায়”।