Hilsa Fish: ঝাঁকে ঝাঁকে উঠছে পদ্মার ইলিশ, পুজোর আগে দাম কি কমবে?
দীর্ঘ সময় পরেও আবারও সেই রুপোলি ইলিশ ঘাটে উঠলো। অল্প দামে যদি পাতেই সময় ইলিশ মাছ পড়ে, তাহলে তো ক্রেতাদের মুখে হাসি ফুটবে বইকি। দীর্ঘদিন পরে আবারো এত পরিমানে ইলিশ মাছ দেখে বেশ খুশি হয়েছেন জেলে এবং মৎস ব্যবসায়ীরা। এই ঘটনা ঘটেছে বাংলাদেশে আগস্ট মাসের মাঝামাঝি সময় দুটি বড় মৎস্য কেন্দ্র আলিপুর মহিপুরে দেখা যায় চূড়ান্ত ব্যস্ততা। প্রত্যেকটা মৎস্য কেন্দ্রে ভরে গেছে রুপোলি ইলিশে। চট্টগ্রাম, বাঁশখালী, কুতুবদিয়া, কক্সবাজার এখানে এসে মাছ বিক্রি করতে এসেছেন তাহলে বোঝা যাচ্ছে ঠিক কতটা পরিমাণে ইলিশ পাওয়া গেছে। সকালবেলা থেকেই এই জায়গা গুলো ছিল ক্রয় বিক্রয়ের ডাকে একেবারে সরগরম। অনেকটা দীর্ঘ সময়ের পর অর্থাৎ প্রায় ৬৫ দিনের পর ৭ দিনের মধ্যে দুইবার এইভাবে জেলেরা আশা করছেন, তাদের আগে যে ব্যবসায় ক্ষতি হয়েছে তা অনেকটাই পূরণ হবে। তবে প্রথম দিকে বেশ কিছুদিন সমুদ্রে জাল ফেললেও কোনো রকম মাছের দেখা মেলেনি। আগস্ট মাস মোটের উপর ভালই কেটেছে।
আগস্টের মত সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে বরগুনায় দু কেজি ১২ গ্রামের একটি ইলিশ মাছ উঠেছে যার দাম প্রায় নয় হাজার টাকা। অন্যদিকে চট্টগ্রামেও তিন কেজি ওজনের ইলিশ মাছ উঠেছে যার দাম প্রায় ১৬ হাজার টাকা। ইতিহাস বলছে, বেশ কয়েক বছর আগেও নাকি এরকম তিন কেজি ওজনের ইলিশ মাছ উঠেছিল।
বাংলাদেশ সংবাদ মাধ্যম থেকে জানানো হচ্ছে, আপাতত বাংলাদেশের মৎস্য কেন্দ্রগুলিতে ইলিশ কেনার ধুম পড়ে গেছে স্বাভাবিকভাবেই একটা প্রশ্ন মাথায় আসে যে, যখন ইলিশের যোগান এত বেশি আসছে তাহলে কি কোন ভাবে ইলিশের দাম কমেছে?
এ বিষয়ে আশানুরূপ উত্তর দিতে পারেনি মৎস্য দপ্তর। তাদের বক্তব্য যতই ইলিশের উৎপাদন বাড়ুক না কেন দাম কিছুতেই কমছে না। বরঞ্চ দাম আরো লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে যাচ্ছে তার ফলে সাধারণের নাগালের বাইরে এখনো রূপলি শস্য। বাংলাদেশের বিভিন্ন উপকূল যেমন বরগুনা, কলাপাড়া, চাঁদপুর, দৌলতখানা, লক্ষ্মীপুরে প্রচুর পরিমাণে ইলিশ মাছ উঠেছে।
জেলেরা যেমন হাজার হাজার টাকা দামের ইলিশ মাছ বিক্রি করেছে ঠিক তেমনি ৫০০, ৬০০ টাকা দামেও ইলিশ মাছ পাওয়া গেছে। তবে অন্যান্য জায়গা থেকে ঢাকায় ইলিশ মাছের দাম অনেকটাই বেশি। যেমন যে সমস্ত মাছ জেলেরা প্রায় ৩০০ টাকায় বিক্রি করেছে ঢাকায় সেই মাছের দাম হয়ে গেছে প্রায় ৫০০ টাকা। কবে সাধারণের পাতে খুব অল্প দামে ইলিশ মাছ পাওয়া যাবে? আপাতত সেই আশাতেই বসে আছেন দুই বাংলার ইলিশ প্রেমীরা।