Hoop Life

ত্বকে বলিরেখার দাগ দূর করুন চারটি প্রাকৃতিক উপায়ে

নিজেকে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে অল্পবয়সী দেখতে কে না চায়। কিন্তু বর্তমানে যা পরিস্থিতি অতিরিক্ত মানসিক চিন্তা, পরিবেশ দূষণ, খাওয়া-দাওয়ার বদভ্যাস ইত্যাদি সব কিছুর জন্যই আমাদের ত্বকের উপরে বার্ধক্য অনেক আগেই চলে আসে। যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আপনাকে মেনে চলতে হবে কয়েকটি ঘরোয়া টিপস।

প্রথমত, খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনতে হবে অতিরিক্ত জল পান করতে হবে। ফলের রস খেতে হবে বেশি পরিমাণে। কাঁচা শাকসবজি, ফলমূল ইত্যাদি বেশি পরিমাণে খেতে হবে প্রসেসড ফুড, প্যাকেটজাত খাবার, জাঙ্কফুড খাওয়া বন্ধ করতে হবে। অতিরিক্ত মাত্রায় তেল চর্বি জাতীয় খাবার খাওয়া বন্ধ করতে হবে। মদ্যপান, ধূমপান বন্ধ করতে হবে।

দ্বিতীয়তঃ, নিয়মিত যোগাভ্যাস করতে হবে। যোগাভ্যাস করলে শরীরের এনার্জি লেভেল এবং মেটাবলিজম বৃদ্ধি পায়। যা ত্বক এবং চুলের জন্য ভীষন প্রয়োজনীয় একটি উপাদান।

তৃতীয়তঃ, নিয়মিত পরিমাণে ত্বকের ক্লিনজিং, টোনিং, মময়েশ্চারাইজিং করতে হবে না হলে ত্বক অনেক বেশি বার্ধক্যের দিকে পর্যবসিত হবে। বাজার চলতি কোনো প্রোডাক্ট এর দিকে না ঝুঁকে যতটা সম্ভব হয়, প্রাকৃতিক ঘরোয়া উপাদান ঠাকুমার আমলে টোটকা ব্যবহার করতে পারলেই পার্থক্য অনেকটাই কমবে।

চতুর্থত, ত্বকের ক্লিনজার হিসেবে বেসন, কাঁচা দুধ ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া ফেসপ্যাক এর জন্য কফি পাউডার, চালের গুঁড়ো, গুঁড়ো দুধ এছাড়া কাঁচা দুধ অথবা গোলাপজল এমনি জল ব্যবহার করতে পারেন। স্ক্রাবিংয়ের জন্য ব্যবহার করতে পারেন কফি পাউডার, চালের গুঁড়ো, ওটস গুঁড়ো ইত্যাদি। চুল ভালো রাখার জন্য নিয়মিত একটি করে আমলকি খেতে হবে। চুলকে কখনোই কোনো রকম কেমিকাল শ্যাম্পু দিয়ে চুল না ধুয়ে সপ্তাহে অন্তত একদিন চুলের জন্য প্রোটিন হেয়ার প্যাক বানিয়ে চুলে লাগাতে হবে। এছাড়া চাল ধোয়া জল দিয়ে সপ্তাহে অন্তত দুদিন চুল ভালো করে পরিষ্কার করে নিতে পারেন। এটি অসাধারণ একটি উপাদান যা চুল বাড়তে সাহায্য করে চুলের অকালপক্কতা দূর করতে সাহায্য করে চুল উঠে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।

উপরের নিয়ম গুলি মেনে চললে আপনার বয়স ধরে রাখতে আর খুব বেশি কষ্ট করতে হবেনা। উপরের বলে দেওয়া এই কয়েকটা নিয়ম মেনে চললেই আপনি বেশী বয়সেও কম বয়সী বালিকাদের মতন দেখতে লাগবেন।

Related Articles