শীতকাল মানেই শুষ্ক মরসুম। শুকনো হাওয়ায় টানটান ভাব আসে ত্বকেও। মুখের ত্বক শুষ্ক হয়, হাতে পায়ের চামড়াও ফেটে যায়। চুলেও সমস্যা দেখা দেয়। বিশেষ করে খুশকির সমস্যা (Dandruff Problem) অনেকটাই বেড়ে যায় শীতকালে। সারা বছরই এই সমস্যা থাকলেও শীতকালে যেন খুশকির আরো বাড়বাড়ন্ত হয়। অনেক শ্যাম্পু, হেয়ার প্যাক ব্যবহার করেও সম্পূর্ণ ভাবে খুশকি দূর হয় না। অনেকে এর জন্য পার্লারেও যান বিশেষ স্পা করাতে। এতে অনেকগুলো টাকা খরচ হয়ে যায়।
তবে এই প্রতিবেদনে এমন কিছু ঘরোয়া উপায়ের সন্ধান রইল যেগুলিতে টাকাও খরচ হবে না আবার খুশকিও দূর হবে সহজেই। খুশকির সমস্যায় অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার দারুণ কাজ করে। অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার আর সমান পরিমাণ জল একসঙ্গে মিশিয়ে মাথার স্ক্যাল্পে মালিশ করতে হবে। ১৫ মিনিট রেখে দেওয়ার পর ধুয়ে ফেলতে হবে। সপ্তাহে দু বার করলেই দূর হবে খুশকি। অনেকেই ওজন কমাতে গ্রিন টি পান করে থাকেন। এতে রয়েছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান যা স্ক্যাল্পের স্বাস্থ্য ভালো রাখে এবং খুশকি দূর করে।
চুলের স্বাস্থ্যে নারকেল তেলের অপরিহার্যতার কথা তো সকলেই জানেন। দু টেবিল চামচ নারকেল তেলের সঙ্গে দু টেবিল চামচ লেবুর রস মিশিয়ে মিশ্রণটি মাথার ত্বকে মালিশ করতে হবে। তারপর ভালো করে শ্যাম্পু করে নিলে দূর হবে খুশকি। মেথিও চুলের যত্নে ভালো কাজ করে। মেথি দানা ভালো করে বেটে সারা চুল এবং স্ক্যাল্পে প্রলেপ লাগাতে হবে। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পরে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
এই সমস্ত উপাদান ব্যবহার করার পাশাপাশি আরো একটি কথা মনে রাখতে হবে। চুল নিয়মিত পরিস্কার করা জরুরি। সপ্তাহে অন্তত দু দিন নিজের চুলের জন্য মানানসই শ্যাম্পু দিয়ে চুল পরিস্কার করতে হবে। মাথার স্ক্যাল্প পরিস্কার থাকলে খুশকির সমস্যাও কমবে। এছাড়া ব্রাশের বদলে চিরুনি দিয়েও চুল আঁচড়ানোর পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা।
সতর্কীকরণ- উপরে উল্লেখিত কোনো উপাদানে অ্যালার্জি থাকলে ব্যবহারের আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এছাড়াও কোনোরকম সমস্যা এড়াতে আগে চিকিৎসকের সঙ্গে অবশ্যই কথা বলুন।