সামান্য কিছু উপকরণ দিয়েই তৈরি করুন ম্যাজিক তেল, চকচকে টাক ভরে উঠবে ঘন চুলে
আঠেরো হোক বা আটচল্লিশ, চুল পড়ার (Hair Fall) সমস্যা থেকে রেহাই নেই কারোরই। এর নেপথ্যে রয়েছে অনেক কারণ। বাড়তে থাকা দূষণের কারণে চুল ওঠার সমস্যাও বাড়ছে পাল্লা দিয়ে। সেই সঙ্গে রয়েছে অযত্ন। চুলের যত্ন না করলে তো চুল উঠবেই। তবে শারীরিক অসুস্থতার কারণেও চুল ওঠার পরিমাণ বেড়ে যায় অনেক সময়। এখন আর বয়সের গণ্ডিতে আটকে থাকে না এই সমস্যা। ত্রিশ ছোঁয়ার আগেই চুল উঠে টাক পড়ে যাওয়ার জোগাড় হয় অনেকের।
চুল পড়া স্বাভাবিক। প্রতিদিন চুল আঁচড়ানোর সঙ্গে সঙ্গেই কিছু পরিমাণ চুল ওঠে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলেন, চিন্তার কারণ তখনই হয় যখন চুল ঝরে গেলেও নতুন চুল গজানো বন্ধ হয়ে যায়। এই সমস্যা থেকে রেহাই পেতে এক ছোট্ট সমাধান রয়েছে বাড়িতেই। শীতকালে এমনিতেই চুল বেশি ঝরে। তাই এই সময় নিয়মিত শ্যাম্পু এবং প্রোটিন হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করার পাশাপাশি চুলে অয়েলিংও করা জরুরি। সে জন্য বাড়িতেই তৈরি করা যায় এমন একটি হেয়ার রিগ্রোথ অয়েলের সন্ধান রইল এই প্রতিবেদনে।
খুব সহজ এই তেল তৈরি করার জন্য প্রয়োজন মাত্র কয়েকটি উপকরণের। দরকার হবে নারকেল তেল, কারি পাতা, রোজমেরি অয়েল এবং আমলকির গুঁড়োর। এক কাপ কারি পাতা ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে রাখতে হবে। সসপ্যানে ২ কাপ নারকেল তেল গরম করুন হালকা আঁচে। তেল ফুটে ওঠা শুরু করলেই তার মধ্যে মেশাতে হবে কারি পাতা। মাঝারি আঁচে ফোটাতে হবে তেলটা। রঙ পরিবর্তন হতে শুরু করলেই এর মধ্যে মেশাতে হবে আমলকির গুঁড়ো। এরপর আরো ৮ মিনিট মতো ফুটিয়ে আঁচ বন্ধ করতে হবে। তেল ঠাণ্ডা হলে ছেঁকে অন্য একটি পাত্রে রেখে তার মধ্যে মেশান ৮-১০ ফোঁটা রোজমেরি অয়েল।
এই তেল হাতে নিয়ে স্ক্যাল্পে, চুলের গোড়ায় ভালো করে ম্যাসাজ করতে হবে। ঘন্টা খানেক অপেক্ষা করে শ্যাম্পু করে নিতে হবে। সপ্তাহে ২-৩ দিন এই তেল ব্যবহার করতে হবে। নারকেল তেলের থাকা ফ্যাটি অ্যাসিড স্ক্যাল্পে পুষ্টি জোগানোর সঙ্গে সঙ্গে রুক্ষ চুলে জেল্লা বাড়ায়। কারি পাতায় রয়েছে ভিটামিন এ, বি, সি এবং ই যেগুলি চুলের স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী। আমলকিতে থাকা ভিটামিন সি স্ক্যাল্পে কোলাজেন উৎপাদন করতে সাহায্য করে। এতে চুলের গোড়া মজবুত হয়। অন্যদিকে রোজমেরি অয়েল নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। নিয়ম মেনে এই তেল ব্যবহার করলে ফল পাওয়া যাবেই।
সতর্কীকরণ- উপরে উল্লেখিত কোনো উপাদানে অ্যালার্জি থাকলে ব্যবহারের আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এছাড়াও কোনোরকম সমস্যা এড়াতে আগে চিকিৎসকের সঙ্গে অবশ্যই কথা বলুন।