গৃহবধূদের মুখে ফুটবে হাসি, বাড়িতে বসেই এই কাজে হবে বিপুল আয়
নিশ্চিন্ত সচ্ছল জীবনযাপনের জন্য অর্থ প্রয়োজন। এখন মূল্যবৃদ্ধির বাজারে সব কিছুর দামই অতিরিক্ত। তাই সকলেই কোনো না কোনো পেশায় নিজেকে নিযুক্ত করছেন। অর্থ উপার্জনের জন্য অনেকে শুধু চাকরি নয়, ঝুঁকছেন ছোটখাট ব্যবসার (Small Business) দিকেও। বিশেষ করে যারা গৃহবধূ তারা হাত খরচের জন্য স্বাবলম্বী হতে ছোটখাট ব্যবসার পক্ষপাতী হয়ে উঠেছেন। বাড়িতে বসে অর্থ উপার্জনের সুযোগ থাকলে তা হয় সবথেকে ভালো।
বর্তমানে অবশ্য মহিলাদের জন্য অনেক রকম কাজই এসে গিয়েছে। নানান ছোটখাট ব্যবসা, হস্তশিল্পের কাজ করে স্বনির্ভর হয়ে উঠেছেন বহু মহিলা। বিভিন্ন জেলার, গ্রামাঞ্চলের মহিলারাও আয় করে নিজের পায়ে দাঁড়াচ্ছেন, সংসারেও টাকা দিচ্ছেন। এই প্রতিবেদনে এমন একটি উপায়ের কথা জানাব যার সাহায্যে দিনে ৩০০ টাকা পর্যন্ত উপার্জন করতে পারবেন। জলপাইগুড়ির একটি গ্রামের মহিলারা ব্যবসার নতুন পথ দেখাচ্ছেন।
ব্যবসা করেই দিনে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা উপার্জন করছেন এই গ্রামের মহিলারা। হিসেব মতো তাদের মাসিক আয় দাঁড়াচ্ছে প্রায় ৯ হাজার টাকা। কিন্তু কী এমন কাজ করে টাকা উপার্জন করছেন এই মহিলারা? সেটা হল সেদ্ধ সুপারির ব্যবসা। উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি শহরের ২০ নম্বর ওয়ার্ড এবং বামন পাড়ার মহিলারা এই ব্যবসা করেই বেশ ভালো আয় করছেন।
সেদ্ধ সুপারি কেটে বিক্রি করে বহু গৃহবধূ স্বনির্ভর হয়ে উঠেছেন। জানলে অবাক হবেন, কেউ কেউ বাড়তি আয় হিসেবে বেছে নিয়েছেন এই সুপারি কেটে বিক্রি করার কাজ। আবার কেউ কেউ এই কাজ করেই আয় দিয়ে চালাচ্ছেন সংসার। প্রতিদিন দুপুর বারোটা থেকে শুরু হয়ে যায় কাজ। দলবেঁধে বাড়ির চাতালে বসেই চলে সুপুরি কাটার কাজ। সুপুরি সেদ্ধ করে খোসা ছাড়িয়ে তা কাটা হয়। তারপর সেই কাটা সুপুরি ভালো করে রোদে শুকিয়ে বস্তা আর প্যাকেট বন্দি হয়ে পাড়ি দেয় বিভিন্ন জায়গায়। জানা যাচ্ছে, এই কাজ করে প্রায় ৪০০-৫০০ জন মহিলার কর্মসংস্থান হয়েছে। প্রায় ৫০ কেজি সুপুরিতে আয় হয় প্রায় ২৫০ টাকা।