সম্প্রতি ছিল স্বর্ণযুগের অভিনেত্রী তনুজা (Tanuja)-র জন্মদিন। জন্মদিন কখনও তনুজা বিরাট আয়োজন করে পালন করেন না। তিনি বরাবর একা থাকতে ভালোবাসেন। তাঁর সঙ্গী হল বিভিন্ন ধরনের বই এবং পত্র-পত্রিকা। শুধুমাত্র বলিউড নয়, তনুজা ছিলেন বাংলা ও মরাঠি ফিল্মের অভিনেত্রী। কার্যতঃ সেই সময় অনেকেই চমকে গিয়েছিলেন মরাঠি অভিনেত্রী শোভনা সমর্থ (Shobhna Samarth)-এর কন্যা তনুজা বাংলা ফিল্মে অভিনয় করবেন শুনে। কিন্তু মহানায়ক উত্তম কুমার (Uttam Kumar)-এর বিপরীতে একের পর এক হিট ফিল্ম উপহার দিয়েছেন তনুজা। সেগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ‘দেয়া-নেয়া’, ‘অ্যান্টনি ফিরিঙ্গি’-র মতো ফিল্ম।
কিন্তু তনুজার ব্যক্তিগত জীবন ছিল যথেষ্ট টালমাটাল। ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন সোমু মুখোপাধ্যায় (Somu Mukherjee)-কে। কিন্তু কাজল (Kajol) ও তানিশা (Tanisha)-র জন্মের পর শুরু হয়েছিল ইগোর লড়াই। তনুজা তখন হিট নায়িকা। স্ত্রীর ব্যস্ততা মানতে পারেননি সোমু। ফলে নিত্যদিন অশান্তি লেগেই থাকত। একসময় দুই মেয়েকে নিয়ে স্বামীর ঘর ছাড়তে বাধ্য হন তনুজা। তাঁর এই সিদ্ধান্তে তনুজার শ্বশুর-শাশুড়ি কষ্ট পেলেও তাঁর উপায় ছিল না। তবে তনুজা তাঁদের বিবাহ বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত জানিয়েছিলেন কাজল ও তানিশাকে।
একবার একটি সাক্ষাৎকারে কাজল জানিয়েছিলেন, তাঁর মা তনুজার সাথে তাঁদের সম্পর্ক ছিল অসাধারণ। তনুজার সাথে তাঁর সম্পর্ক শুধুমাত্র মা-মেয়ের নয়, তাঁরা বন্ধুর মতো মেশেন। নিজের জীবনের সব কথাই মা তাঁর সাথে শেয়ার করেছেন বলে জানিয়েছেন কাজল।
মা-বাবার বিবাহ বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত তনুজা এমনভাবেই কাজলকে জানিয়েছিলেন, কাজলরা বুঝতে পেরেছিলেন, এই সিদ্ধান্ত তাঁদের জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত ছিল। তনুজা বুঝিয়েছিলেন, কেন তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কাজলের উত্তর পাওয়ার অপেক্ষায় ছিলেন তনুজা। কিন্তু কাজল বুঝতে পারেন, এই সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন ছিল।
View this post on Instagram