Kitchen Tips: শশা খেতে গিয়ে তেতো ভাব? এইভাবে কাটলে আর থাকবে না তিতকুটে স্বাদ
এক ফলেই একাধিক গুণের কথা বললে শশার (Cucumber) নাম আসবেই। শুধু যে স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো এই ফল তাই নয়, উপরন্তু ত্বকের যত্নেও শশার গুরুত্ব অপরিহার্য। রূপচর্চাতে অনেকেই ব্যবহার করে থাকেন শশা। এই ফলে পুষ্টিগুণও রয়েছে প্রচুর। তবে শশা কাটতে গিয়ে অনেক সময় একটা তেতো ভাব চলে আসে। কীভাবে কাটলে তিতকুটে হবে না শশা? এই প্রতিবেদনেই রইল উত্তর।
কাটতে গিয়ে অনেক সময় শশার স্বাদ তেতো হয়ে যায়। কিন্তু এমনটা হওয়ার কারণ কী? আসলে শশায় থাকে কিউকারবিটাসিন নামক এক উপাদান যার জন্য তেতো ভাবটা আসে। শশা কাটার সময়ে কিছু বিষয় খেয়াল রাখলেই এই তিতকুটে ভাব এড়ানো সম্ভব। তার জন্য যেভাবে বলা হচ্ছে সেভাবেই কাটতে হবে। প্রথমে ভালো করে জল দিয়ে শশা ধুয়ে ফেলুন। এরপর পিলার দিয়ে ছাড়িয়ে ফেলুন খোসা। খেয়াল রাখবেন যেন শশার গায়ে একটুও খোসা লেগে না থাকে। তাতে তেতো ভাব থাকতে পারে।
অনেকেই নুন দিয়ে শশা খেতে পছন্দ করেন। এর সুবিধাও আছে। শশায় নুন দিয়ে খেলে স্বাদ তো বাড়বেই, এছাড়াও তেতো ভাবটাও কমে। শশার বীজে তিক্ত স্বাদ বাড়ে। তাই কাটার সময় শশার বীজ কুরে ফেলে দিতে পারেন। অবশ্য শশা যদি কচি হয় তাহলে এ নিয়ে ভাবার প্রয়োজন নেই।
শশার মধ্যে পুষ্টিগুণ যে ভরপুর রয়েছে তা সকলেই জানেন। গরমকালে বেশি করে শশা খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। কারণ অতিরিক্ত গরমে শশায় থাকা জলীয় ভাব শরীরে জলের ঘাটতি পূরণ করে। যারা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য ডায়েট করেন তাদের জন্য শশা খুবই উপকারী। হজমে সাহায্য করে শশা। এছাড়া ত্বকের পরিচর্যাতেও গুরুত্বপূর্ণ সঙ্গী শশা। গোল করে শশা কেটে চোখের উপরে রাখলে চোখের তথ্য কালচে ভাব কমে। চোখে ঠাণ্ডা ভাবও সঞ্চারিত হয়।
Disclaimer: বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ এবং মতামতের ভিত্তিতে লেখা হয়েছে প্রতিবেদনটি। ব্যক্তিবিশেষে এর ফল হতে পারে ভিন্ন।