বর্ষাকালে চালে পোকার উপদ্রব কমিয়ে ফেলুন সহজ উপায়ে
বাঙালি সর্বভূক হলেও ভাত ছাড়া যে বাঙালির চলবে না তা আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না। আমিষ থেকে নিরামিষ যেকোনো পদের সঙ্গেই ভাতই চাই বাঙালির। এমনকি কোথাও ঘুরতে গেলেও খোঁজ পড়ে ভাতের। প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই কয়েক কেজি চাল একসঙ্গে সংরক্ষণ করে রাখা হয়। প্রতিদিন একবেলা বা দুবেলা ভাত রান্না হলে চাল সংরক্ষণ করে রাখাটাই বুদ্ধিমানের কাজ। তবে অনেক সময়ই দেখা যায়, এই সংরক্ষণ করে রাখা চালে পোকা (Rice Beetle) ধরে গিয়েছে।
চালে পোকা ধরলে গুণগত মান কমে যায়। অনেক চাল নষ্টও হয়ে যায়। ভাত রান্নার আগে বসে পোকা বাছতে গেলে প্রচুর সময় নষ্ট হয়। আবার ভালো করে চাল ধোওয়া হলেও পোকা থেকেই যায়। এমতাবস্থায় চাল থেকে পোকা তাড়ানোর উপায় কী?
চাল সব সময় এয়ার টাইট কন্টেনারে রাখা উচিত। এভাবে চাল সংরক্ষণ করলে পোকা ধরার সম্ভাবনা থাকে না। এয়ার টাইট ফুড কন্টেনারে চাল রাখলে শুধু যে পোকা ধরার ভয় থাকে না, তেমনি আবার চাল স্যাঁতস্যাঁতেও হয় না। প্লাস্টিকের পাত্র ব্যবহার না করে স্টিলের ড্রাম ব্যবহার করতে পারেন।
চালের মধ্যে কয়েকটি শুকনো লঙ্কা রাখলে পোকা ঘেঁষবে না। কয়েকটি গোলমরিচও রাখতে পারেন চালের মধ্যে, এতেও দূর হয় পোকা। চাল থেকে পোকা দূরে রাখতে সব সময় শুকনো, ঠাণ্ডা জায়গায় চাল রাখা উচিত। পাত্রে রাখা চাল বাড়ন্ত হলে পাত্রটি পরিস্কার করে পুনরায় চাল রাখা ভালো।
পোকা তাড়াতে চালের মধ্যে রসুন রাখতে পারেন। চালের মধ্যে রাখা রসুন শুকিয়ে গেলে তা বদলে দিতে হবে। পোকা তাড়াতে চালের মধ্যে নিমপাতা বা তেজপাতার রাখতে পারেন। চালের পাত্র যেখানে রাখা হয় সেখানে কীটনাশক স্প্রে করলেও পোকার দৌরাত্ম্য দূর হয়। চাল ভর্তি পাত্র ফ্রিজের মধ্যেও রাখতে পারেন। ফ্রিজের ঠাণ্ডায় চার পাঁচ দিন পরে সব পোকা মরে যাবে। অনেকে চাল রোদে দেন। কিন্তু এতে ভাতের স্বাদ নষ্ট হয়ে যায়। সরাসরি চাল রোদে না দিয়ে কৌটো রোদে দিতে পারেন।