Shani Dev: শনির প্রকোপে ভণ্ডুল হচ্ছে সবকিছু! এই উপায়ে পাবেন নিশ্চিত প্রতিকার
হিন্দু ধর্মে তেত্রিশ কোটি দেবদেবীর মধ্যে অনেকেরই নিত্যপূজা প্রচলিত রয়েছে। তেমনি আবার এই দেব দেবীদের আরাধনার জন্য সপ্তাহের আলাদা আলাদা দিনও চিহ্নিত করে রাখা রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, সোমবার পুজো করা হয় মহাদেবের। মঙ্গলবার আবার বজরঙ্গবলীর দিন। ভক্তিভরে এদিন তার আরাধনা করা হয়। একই রকম ভাবে সপ্তাহের সপ্তম দিনে অর্থাৎ শনিবার শনিদেবের (Shani Dev) দিন।
শনিদেবকে ফল দাতা এবং ন্যায়ের দেবতা বলা হয়। কারণ তিনি প্রতিটি মানুষের জাগতিক পাপ পুণ্যের হিসাব রক্ষণ করেন। যাদের পাপের পরিমাণ বেশি তাদের তদনুরূপ শাস্তি প্রদান করেন। আর পুণ্য সঞ্চয় করা মানুষদের আশীর্বাদ করেন। তবে শনিদেবকে একটু সমঝেই চলে মানুষ। কারণ এই দেবতা একবার কুপিত হলে জীবনে তার ভয়াবহ প্রভাব পড়ে। কারোর খারাপ সময় না কাটলে মনে করা হয়, তার শনির দশা চলছে। অনেকের জন্ম থেকেই কুণ্ডলীতে শনির দোষ থাকে। তাই নানা প্রতিকার করে শনিদেবের কোপ থেকে রক্ষা পাওয়ার নিদান দেওয়া হয়।
পণ্ডিতদের মতে, শনিদেবকে সন্তুষ্ট করতে হলে প্রতি শনিবার নিরামিষ খেয়ে নিয়ম মেনে পুজো করা উচিত। কোনো অশ্বত্থ গাছে পুজো করে জল নিবেদন করাও ভালো। তিলের তেল দিয়ে প্রদীপ জ্বালিয়ে গাছটিকে সাত বার প্রদক্ষিণ করার নিদান দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বলা হয়, শনির প্রকোপ থেকে মুক্তি পেতে কালো কাপড়, কালো ছাতা, কালো তিল, কালো উড়দ ডাল, জুতো, গুড়, তেলের মতো জিনিস অভাবীদের দান করা উচিত। কিন্তু এই দানের কথা প্রকাশ পেলে চলবে না। নিঃস্বার্থ ভাবে দান করতে হবে।
আর্থিক সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে প্রতি শনিবার একটি কালো গরুর পুজো করে তাকে খাওয়ালে উপকার পাওয়া যায়। এছাড়া কালো কুকুর দেখলে তাকে খেতে দেওয়াও উপকারী মানা হয়। কারণ মনে করা হয়, কালো কুকুর শনিদেবের খুব প্রিয়। এছাড়াও প্রতিদিন হনুমান চালিশা পাঠ করারও পরামর্শ দেন পণ্ডিত ব্যক্তিরা।
Disclaimer: বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ এবং মতামতের ভিত্তিতে লেখা হয়েছে প্রতিবেদনটি। ব্যক্তিবিশেষে এর ফল হতে পারে ভিন্ন।