আর নয় দীঘা-দার্জিলিং, পুজোয় শর্ট ট্রিপের জন্য আদর্শ এই অফবিট জায়গা
ঘুরতে যেতে কে না ভালোবাসে? তবে বাঙালি যতই ভ্রমণপ্রিয় হোক না কেন, ‘দীপুদা’র বাইরে বেরোতে পারেননি অনেকেই। হাতে কয়েক দিনের ছুটি পেলেই তারা বসিয়ে পরেন দীঘা (Digha), নয়তো পুরী (Puri) কিংবা দার্জিলিং (Darjeeling) এর উদ্দেশে। কিন্তু একই জায়গা আর কাঁহাতক ভালো লাগে? তাই অনেকেই এখন খোঁজেন অফবিট প্লেস। তথাকথিত টুরিস্ট ডেস্টিনেশন নয়, অথচ অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা, এমন জায়গার এখন চাহিদা তুঙ্গে। এই প্রতিবেদনে খোঁজ রইল এমনি এক অফবিট জায়গার।
জায়গাটির নাম সিলেরি গাঁও। কালিম্পং থেকে আরো ৬০০০ ফিট উঁচুতে পাহাড়ের কোলে এই গ্রামের খোঁজ এখনো পৌঁছায়নি বহু পর্যটকের কাছে। তাই সিলেরি গাঁও অপেক্ষা করে রয়েছে নিজের অপরূপ সৌন্দর্য দিয়ে পর্যটকদের মুগ্ধ করে দেওয়ার জন্য। ছোট্ট সুন্দর ছিমছাম পাহাড়ি গ্রামের সমস্ত রূপ, রস, গন্ধই এখানে পেয়ে যাবেন। সকাল সকাল হোমস্টের জানলায় চোখ রাখলেই স্বাগত জানাবে কাঞ্চনজঙ্ঘা। ছিমছাম শান্ত পরিবেশে কিছুদিন মনকে বিশ্রাম দেওয়ার জন্য সিলেরি গাঁও আদর্শ। চাইলে এখান থেকে আরো আধ ঘন্টা মতো হেঁটে পৌঁছে যেতে পারেন রামি ভিউ পয়েন্টে। সেখান থেকে দেখতে পারেন সুন্দরী তিস্তার গতিপথ।
এবার প্রশ্ন হল, যাবেন কীভাবে? প্রথমে বাস বা ট্রেন ধরে পৌঁছে যান নিউ জলপাইগুড়ি। সেখান থেকে গাড়ি বুক করে সোজা সিলেরি গাঁও। যদি কালিম্পং ঘুরে আসতে চান সেটাও সম্ভব। সিলেরি গাঁও যাওয়ার গাড়ি পেলেও অফবিট লোকেশন বলে ভাড়া কিছুটা বেশিই থাকতে পারে। তাই শেয়ারে গেলে পকেটে চাপ কম পড়বে।
এখানেই পেয়ে যাবেন অনেক সুন্দর সুন্দর আন্তরিক ব্যবস্থা সম্পন্ন হোমস্টে। থাকার খরচও মধ্যবিত্তের বাজেটের মধ্যেই। এক একটি হোমস্টে তে থাকা এবং খাওয়ার খরচ মাথাপিছু ১৫০০-২০০০ টাকা। আপনার বাজেট মতো একটি হোমস্টে পছন্দ করে নিন। তবে হ্যাঁ, যেহেতু অফবিট লোকেশন, তাই সঙ্গে যথেষ্ট ওষুধপত্র নিয়ে যেতে ভুলবেন না।