Lifestyle: শ্বশুর-শাশুড়ির সঙ্গে মানিয়ে চলার ১০টি কার্যকরী টিপস আজই শিখে নিন
ধরেই নিন দেখে শুনে বিয়ে হচ্ছে, কিংবা প্রেম করেই, কিন্তু, শ্বশুর বাড়িতে এই প্রথম যাচ্ছেন তাও আবার বউ হয়ে একেবারের জন্য। এই ক্ষেত্রে কিছু ব্যাপার অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে, তা হল শ্বশুর শাশুড়ির সঙ্গে মানিয়ে গুছিয়ে চলা। যদি জয়েন্ট ফ্যামিলি হয় তাহলে একরকম আর যদি পাত্র বাবা মায়ের একমাত্র ছেলে কিংবা ঘরে বোন আছে বা দিদির বিয়ে হয়ে গিয়েছে তাহলে আরেকরকম। দুই দিক বিচার করেই নিম্নবর্তী টিপস্ দেওয়া হল –
১) বিয়ের পর সকলকে শুধু দেখুন, শুনুন, বুঝুন। উত্তর একেবারেই নয়। হাসি মুখে শুধু দেখুন শুনুন।
২) খারাপ ভালোর বিচার প্রথমেই করা বুদ্ধিমানের হবে না। যাকে বোঝাতে চাইবেন অমুক ভালো বা অমুক খারাপ, অমুক ঠিক বা ভুল তিনি হয়তো আপনার আগে থেকেই সবটা জানেন।
৩) স্বামীর কাছে তার পরিবার নিয়ে নালিশ নয়। অবশ্য যদি খুবই খারাপ কিছু হয়, বা নিজের কানে শোনেন বা নিজের চোখে দেখেন তবে জানতে পারেন স্বামীকে।
৪) শ্বশুর বাড়ি গিয়ে যদি কারোর আচরণ আপনার খারাপ লাগে, তাকে প্রথম দিকে বুঝতে না দেওয়া ঠিক হবে। দেখুন তার আচরণ, পরবর্তীতে আপনি প্রতিবাদ করতে পারেন অথবা স্বামীর কাছে পুরো ঘটনাটি তুলে ধরতে পারেন।
৫) বাইরের কথা ভিতরে আনবেন না, এবং ভিতরের কথা বাইরে না।
৬) বাপের বাড়ির সমস্যা শ্বশুর বাড়িতে জানাবেন না। আবার শ্বশুর বাড়ির খুঁটিনাটি বাবা মায়ের কাছে নয়। অবশ্যই বাড়াবাড়ি রকমের খারাপ হওয়ার আগে বা সময় নিজের বাব মাকে জড়াতে পারেন।
৭) শ্বশুর শাশুড়ি কি চাইছেন বোঝার চেষ্টা করতে হবে। বোঝার পর তাকেও বোঝাতে হবে এবার আপনি কি চান।
৮) ভালো কথা যেমন হাসতে হাসতে খুস মেজাজ নিয়ে বলেন, তেমন কড়া শব্দ প্রয়োগের ক্ষেত্রেও নমনীয় হতে হবে।
৯) শ্বশুর শাশুড়িকে স্বামী কত টাকা দিচ্ছে বা কেনো দিচ্ছে এই নিয়ে কোনোরূপ মন্তব্য করা ঠিক নয়।
১০) ঘরে ননদ থাকলে তাকে বোন বা দিদি বানিয়ে নিন, নয়তো অশান্তি অনিবার্য।
Disclaimer: উপরের সবকটি টিপস্ নির্ভর করছে সমাজ, সচেতনতা ও একটি পরিবারের উপর। কোনো টিপস্ কাজে লাগানোর আগে অবশ্যই নিজের বুদ্ধি ও বিবেচনার আশ্রয় নেওয়া উচিত। নতুবা গুরুজনের উপদেশ অথবা কাউন্সিলিং করিয়ে নেওয়া যেতে পারে।