শীতকালে আমরা অনেক সময় গরম জলে স্নান করি কিংবা অতিরিক্ত ঠান্ডা পড়লে অনেকে তো কয়েকদিন স্নান বন্ধই করে দি, কিন্তু আপনি কি জানেন? এটি আপনার ত্বকের জন্য ঠিক কতটা ক্ষতিকারক হতে পারে? না আমরা অনেকেই তা জানিনা, আমরা ভাবি যে শীতকালে ঠান্ডা পড়েছে মানেই অতিরিক্ত গরম জলে স্নান করাটা সত্যিই শরীরের জন্য ভালো? বিষয় একেবারেই সেরকম নয় শরীরের ভেতর গরম হতে পারে ত্বকের উপরে দেখা দিতে পারে দাদ, হাজা, চুলকানির মত নানা সমস্যা। দেরি না করে আমাদের Hoophaap এর পাতায় দেখে ফেলুন কিভাবে শীতকালের দাদ, হাজা, চুলকানি বা র্যাশের মত সমস্যা থেকে নিজেকে রেহাই দেবেন।
শীত পড়তে না পড়তেই আমরা দোকানে চলে যাই যে কোন বাজার চলতি ব্র্যান্ডেড কোম্পানির বডি লোশন বা ময়েশ্চারাইজার কিনতে। বাড়িতে যদি কয়েকটা জিনিস একটু জোগাড় করে রাখতে পারেন, আর তা দিয়েই বানিয়ে ফেলতে পারবেন একমাত্র হোম মেড বডি লোশন। এর কোন সাইডএফেক্ট নেই, একবার তৈরি করে বানিয়ে দেখুন, কত সুন্দর চকচক করবে, আলাদা করে বাইরে থেকে আপনাকে কিছু কিনে আনতে হবে না।
প্রথমেই যে উপকরণটি নিতে হবে, তা হল নারকেল তেল। পরিমান মতন নারকেল তেল নিয়ে নিন, তারপরে নিয়ে নিন পরিমান মতন সরষের তেল। সমপরিমাণ নারকেল তেল যে পরিমাণ নিলেন সরষের তেলও সেই পরিমাণ নিতে হবে।
সঙ্গে মিশিয়ে দিতে হবে অ্যালোভেরা জেল। যতটা জেল প্রয়োজন এর সঙ্গে মিশিয়ে নিন, তারপরে সমপরিমাণ গ্লিসারিন এবং গোলাপজল মিশিয়ে নিন।
ত্বক যদি অতিরিক্ত রুক্ষ, শুষ্ক হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে বেশি পরিমাণ ভিটামিন ই অয়েল ক্যাপসুল থেকে ওয়েল বার করে মিশিয়ে দিন। প্রত্যেকটি উপকরণ আপনাকে কাছে পাত্রের মধ্যে রাখতে হবে, কখনোই প্লাস্টিকের পাত্রের মধ্যে ভুলেও রাখবে না।
আমরা যে প্রতিদিন ভাত খাই, সেই ভাতের একটি পেস্ট সামান্য দুধ দিয়ে তৈরি করে নিতে হবে, তারপর সেই ভাত ভালো করে ছাকনিতে ছেঁকে নিতে হবে।
এরপর একটি পাত্রের মধ্যে এই ভাতের মিশ্রণটি দিয়ে খুব ভালো করে সেদ্ধ করে নিতে হবে। একটি পাত্র নিতে হবে সেই পাত্রের মধ্যে এই ভাত এবং ওপরে বলা প্রত্যেকটি মিশ্রণকে দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। তাহলেই তৈরি হয়ে যাবে অসাধারণ হোমমেড ক্রিম।
সতর্কীকরণ– উপরে উল্লেখিত কোনো উপাদানে অ্যালার্জি থাকলে ব্যবহারের আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এছাড়াও কোনোরকম সমস্যা এড়াতে আগে চিকিৎসকের সঙ্গে অবশ্যই কথা বলুন।
