একই ছাদের নীচে মোদী-মমতা, ক্ষীরের সাহায্যে জাদু দেখালো হাওড়ার গন্ধেশ্বরী সুইটস
বাঙালি মানেই শেষপাতে মিষ্টি থাকবে কিংবা কারণে-অকারণে বিনা অজুহাতে জল খেতে গেলেই টপ করে একটা মিষ্টি মুখের মধ্যে চলে আসবেই। মিষ্টি বলতে কত রকমেরইনা মিষ্টি হয়ে থাকে নানান রকম থিমের ওপর ভিত্তি করেও মিষ্টি বানানোর একটা রীতি রয়েই গেছে। ভাইফোঁটা, জামাইষষ্ঠীতে নানান ধরনের স্পেশাল মিষ্টি তৈরি হয় আমাদের বাংলাতেই৷ করোনাভাইরাসের আবহে করোনার মতন অমন বিশ্রী দেখতে মিষ্টি ও বানানো হয়েছে এই বাংলাতেই।
সম্প্রতি করোনা যতই তার থাবা নিয়ে আবার নতুন করে ফিরে আসুক না কেন এখন বাংলার ঘরে ঘরে একটাই কথা সবার মুখে তা হলো ভোট। ভোটের এমন আবহ থেকে বাদ যায়নি মিষ্টির দোকান অর্থাৎ নানান রকম রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতাদের রেপ্লিকা ক্ষীর দিয়ে বানিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন একটি বিখ্যাত মিষ্টান্ন ভান্ডার। সম্প্রতি হাওড়ার নেতাজি সুভাষ রোড সংলগ্ন ‘মা গন্ধেশ্বরী সুইটস’ এই মিষ্টির দোকানে তৈরি হয়েছে তাবড় তাবড় নেতাদের ক্ষীরের তৈরি রেপ্লিকা। এমন সুন্দর হাতের কাজ দেখতে জড়ো হয়েছেন আট থেকে আশি প্রত্যেকটি মানুষ।
তবে এমন সুন্দর ভাবনা চিন্তা ও শৈল্পিক নৈপুণ্য তাকে সত্যি বাহবা জানাতে হয় কিন্তু এটি যিনি বানিয়েছেন তার নাম হলো এই দোকানের প্রসিদ্ধ মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী প্রদীপ হালদার ওরফে কেষ্টদা। ক্ষীরের তৈরি মিষ্টির তালিকায় কে নেই সেটাই হচ্ছে বড় প্রশ্ন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়, বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী, এমনকি আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীকে সুন্দর করে ক্ষীর দিয়ে বানিয়ে সকলকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন তিনি।
তবে এখানেই শেষ নয় এর আগেও নাকি তিনি তৈরি করেছিলেন ফুটবলার মারাদোনা, ক্রিকেটার সৌরভ গাঙ্গুলী, শচীন টেন্ডুলকারের অসাধারণ ক্ষীরের মূর্তি। আপাতত তার এই অসাধারণ কাজকর্ম দেখার জন্য ভিড় জমাচ্ছেন দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ এসে। এইভাবে যে নিজের শিল্পকর্মের জন্য প্রত্যেকটা মানুষের কাছে প্রিয় হয়ে উঠতে পারেন কেষ্টদা তা হয়তো তিনি নিজেও কোনদিন কল্পনাই করতে পারেননি।