‘আমি তো কলকাতায় থাকি না’, আরজিকর কাণ্ডে বিচার চাইতে গিয়ে মন্তব্য সৌরভ কন্যা সানার
আরজিকরে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনাকে ‘বিচ্ছিন্ন ঘটনা’ বলে তীব্র সমালোচনার শিকার হয়েছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguly)। বাংলার প্রিয় মহারাজ রাতারাতি পরিণত হয়েছেন আমজনতার ক্ষোভ, কটাক্ষের পাত্রে। নিজের বক্তব্যের পক্ষে সাফাই দিয়েও লাভ হয়নি। বুধবার পুলিশের অনুমতি না মেলায় প্রাক্তন ক্রীড়াবিদদের মিছিল এবং স্ত্রী ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়ের নাচের স্কুলের মিছিলেও থাকতে পারেননি সৌরভ। শেষমেষ নাচের স্কুলের সামনেই মোমবাতি জ্বালিয়ে প্রতিবাদে সামিল হন সৌরভ, ডোনা সহ তাঁদের মেয়ে সানাও।
প্রচণ্ড বৃষ্টির কারণে ডোনার নাচের স্কুল দীক্ষামঞ্জরীর ছাত্রছাত্রীরা মিছিলে হাঁটতে পারেনি। তাই নাচের স্কুলের সামনের প্রাঙ্গনেই সমবেত হয়েছিলেন সৌরভ, ডোনা এবং ছাত্রছাত্রীরা। এদিন সংবাদ মাধ্যমের সামনে ধর্ষণের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন সানা। নারী সুরক্ষা নিয়ে বলতে গিয়ে রীতিমতো উত্তেজিত হয়ে ওঠেন তিনি। সানা বলেন, ‘এগুলো একেবারেই মেনে নেওয়া যায় না। বিশ্বের কোথাও ধর্ষণের ঘটনা মেনে নেওয়া উচিত নয়। সেই কারণে আমরা প্রতিবাদ করছি। আমাদের আন্দোলন সেই কারণেই’।
তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, তিনিই নাকি জোর করেছিলেন এই আন্দোলনের জন্য? উত্তরে সানা বলেন, সকলেই জোর করেছিলেন। মহিলা হিসেবে সকলের মতো তাঁরাও প্রতিবাদ করছেন। তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, তিনিও কি কলকাতায় নিরাপত্তার অভাব বোধ করেন? সানা উত্তর দেন, ‘আমি কলকাতায় থাকি না। তবে এটা আমার শহর, আর এখানে যা হচ্ছে তা আমি ভাবতেও পারি না। এগুলো বন্ধ হওয়া উচিত’।
প্রসঙ্গত, এর আগে আরজিকর কাণ্ড নিয়ে সৌরভ বলেছিলেন, ভারতকে সাধারণত একটি নিরাপদ দেশ হিসেবেই সারা বিশ্ব চেনে। বাংলাও নিরাপদ। এখানে এ ধরণের ঘটনা হওয়া উচিত নয়। সৌরভ বলেন, কোনো একটি নির্দিষ্ট ঘটনা থেকে সমগ্র চিত্র বিচার করা উচিত নয়। তাঁর এই মন্তব্য নিয়ে ক্ষোভের ঝড় ওঠে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এ প্রসঙ্গে সম্প্রতি সৌরভ ফের বলেন, তাঁর মন্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে। আন্দোলন এখন অনেক এগিয়ে গিয়েছে। সৌরভ বলেন, তিনি আশা করছেন সিবিআই দোষীদের ধরতে পারলে কড়া শাস্তি দেবে। পরবর্তীতে এমন কিছু করার আগে যেন একশো বার ভাবে মানুষ।