GossipHoop Plus

বলিউড কুইনের সঙ্গে চরম ঘনিষ্ঠতার মাশুল গুনতে হয় হৃতিক রোশনকে

দেখতে দেখতে ৪৬ এ পা রাখলেন বলিউডের মোস্ট হ্যান্ডসাম গ্রীক গড হৃতিক রোশন। ‘কাহো না… প্যায়ার হ্যায়’ দিয়ে বলিউডে যাত্রা শুরু তাঁর। বলিউডে পা রাখা মাত্রই আপামর সিনেমাপ্রেমীদের মন জয় করে নেন হৃতিক। তাঁর শরীরের ভাঁজ, নাচের ভঙ্গিমা, রোম্যান্টিক চাউনির প্রেমে হাজার হাজার মহিলারা হাবুডুবু খেতে শুরু করলো। এমনকি তাঁর আয় ও জনপ্রিয়তার ভিত্তিতে ফোর্বস সাময়িকীর ১০০ ভারতীয় তারকার তালিকায় নাম ওঠে আসে এই তারকার। এছাড়াও ২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি এজেন্সির জরিপে তিনি বিশ্বের সবচেয়ে হ্যান্ডসাম পুরুষ হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন।

বি টাউনে নিজের আধিপত্য ছড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি ২০০০ সালের ২০ ডিসেম্বর গাঁটছড়া বেঁধেছিলেন হৃতিক রোশন তাঁর বান্ধবী সুজানের সঙ্গে। ১৩ বছরের দাম্পত্যে আসে ঝড়। ঠিক ২০১৩ তে তাঁদের ১৩তম বিবাহ বার্ষিকী হওয়ার আগেই বিবাহ বিচ্ছেদের পথে হাঁটেন এই জুটি। দুই ছেলে নিয়ে আলাদা হয়ে যান সুজান। যদিও ছেলেদের জন্য এখনও পর্যন্ত বহুবার দুজন পরস্পরের কাছাকাছি এসেছেন কিন্তু পুরনো প্রেম বা দাম্পত্য আর ফিরে আসেনি।

গুঞ্জন আসে, হৃতিক রোশনের পরকীয়া তাঁদের দাম্পত্যে ছেদ আনে। ২০১০ সালে মুক্তি পায় ‘কাইটস’। তখন এমন খবর রটে যে ম্যাক্সিকোর মডেল বারবারা মোরির সঙ্গে হৃতিক রোশনের পরকীয়া প্রেম চলে। পরে অবশ্য আরও একটি খবর গুঞ্জনে আসে যে শুধু বারবারা মোরি নন, আরও একজনের সঙ্গে রোশনের ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়, আর তিনি হলেন বলিউড কুইন কঙ্গনা রানাউত।

‘কৃষ থ্রি’ করার সময় থেকেই কঙ্গনার সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার হয় হৃতিকের। দুজনের মধ্যে অনেক মেল ও ফটো চালাচালি হয়। গুঞ্জন আসে হৃতিক নাকি কঙ্গনাকে বিয়ের প্রপোজাল পর্যন্ত দিয়েছেন। এক সঙ্গে প্যারিসে নাকি সময় কাটিয়েছিলেন, হাজারের উপর মেল চালাচালি হয়েছিল নাকি। কিন্তু গল্প আচমকা পথ বদলায়। দুজনের সম্পর্ক তিক্ততায় গিয়ে পৌঁছায়। আইন আদালত পর্যন্ত এই সম্পর্ক পৌঁছায়। এমনও গুঞ্জন এসেছে যেখানে একটি মেলে নিজের নগ্ন ছবি পাঠিয়ে হৃতিকের উদ্দেশে কঙ্গনা নাকি লিখেছেন, ‘আমরা যখন প্রথম বার একসঙ্গে থাকব, এমন কিছুই তোমার জন্য অপেক্ষা করবে।’ অভিনেতাও পালটা আক্রমণ করতে ছাড়েননি, সেদিন হৃতিকও বলেছিলেন, কঙ্গনাই তাঁকে যৌন উস্কানিমূলক মেল পাঠিয়েছেন।

Related Articles