গায়িকা বলে শুধু সঙ্গীত চর্চা নিয়ে ব্যস্ত থাকেন না ইমন চক্রবর্তী (Iman Chakraborty)। অন্য আরো একাধিক বিষয়ে তাঁর নজর রয়েছে। দরকার পড়লে স্পষ্ট কথা মুখের উপরে বলতেও জানেন তিনি। এবার ইমন আঙুল তুললেন রাজ্য সরকারের গাফিলতির দিকে। তাঁর লিলুয়ার বাড়ির সামনেটা জঞ্জাল, আবর্জনায় ভরে রয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন নির্লিপ্ত। বিধায়ককে বলেও লাভ হয়নি। তাই এবার সরাসরি সোশ্যাল মিডিয়াতেই ব্যবস্থা নিলেন ইমন।
বর্তমানে কর্মসূত্রে কলকাতায় থাকলেও ইমনের পৈতৃক বাড়ি লিলুয়ায়। তাঁর বাবা এখনো থাকেন সেখানেই। সপ্তাহে তিন চারবার যান ইমন। আর প্রতিবারই বাড়ির সামনের অবস্থা দেখে মন বিরক্তিতে ভরে ওঠে তাঁর। যেন রাজ্যের আবর্জনা এসে জড়ো হয়েছে সেখানে। জঞ্জাল ডাঁই হয়ে রয়েছে। পরিস্কার করার ব্যাপারে উদাসীন স্থানীয় প্রশাসন। এদিকে রাজ্যে লাফিয়ে বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা। বাড়ির আশেপাশে জঞ্জাল, জমা জল পরিস্কার করার উপরে বারংবার জোর দেওয়া হচ্ছে। সেখানে লিলুয়ার এই হাল।
সংবাদ মাধ্যমকে ইমন জানান, বালির বিধায়ক রানা চট্টোপাধ্যায়কে তিনি বলেছেন এ বিষয়ে। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। তাই মদন মিত্রের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগরে দিয়ে সঙ্গীতশিল্পী লেখেন, ‘আমার বাড়ির ঠিক সামনেটা, মানে আমার লিলুয়ার বাড়ির সামনে অটোস্ট্যান্ড রয়েছে একটা। সেটা একটা ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। ১০০ বার বলে বলেও ঠিক হচ্ছে না। যারা দায়িত্ব নিয়েছেন অথচ তাঁরা পালন করছেন না তাদের লজ্জা হওয়া উচিত। ছি! বালি পুরসভাকে ধিক্কার। লিলুয়াতে যারা এই রাস্তা ব্যবহার করো তারা শেয়ার করো। যাতে খবরটা ছড়ায়। যদিও তাতে আদৌ কোনো লাভ হবে কিনা জানিনা। ছি ছি ছি!’
পরের পোস্টে এলাকার বেশ কিছু ছবি এবং ভিডিও শেয়ার করেছেন ইমন, যা দেখে বাস্তবিকই ঘৃণার উদ্রেক হয়। নোংরা আবর্জনায় ভরে রয়েছে গোটা এলাকা। ইমন লিখেছেন, ‘ছবি এবং ভিডিয়ো দিলাম। বালি পুরসভা লজ্জা বলে শব্দটা আসুক জীবনে। এবং যারা যারা এখানে ময়লা ফেলেন এবং ফেলেই চলেছেন, তাদেরও’। এখানেই না থেমে একটি লাইভ ভিডিও করেছেন ইমন। তবে বিধায়ক রানা চট্টোপাধ্যায় জানান, ইমন ডোমজুড় বিধানসভার বাসিন্দা যেটা তাঁর এলাকায় পড়ছে না। তবে ইমন ছবি এবং জিপিএস পাঠালে তিনি ব্যবস্থা নিতে পারেন।