বিয়ের কিছুদিনের মাথায় শাঁখা-পলা না পরায় তুমুল ট্রোলের মুখে গায়িকা ইমন
২০১৯ সাল থেকে সুরকার নীলাঞ্জন এর সঙ্গে সম্পর্ক গায়িকা ইমনের। এক সঙ্গীত অনুষ্ঠানে নীলাঞ্জন ও ইমনের সাক্ষাৎ হয়। সেখান থেকেই শুরু হয় এদের বন্ধুত্ব। আর সেই বন্ধুত্ব থেকে সূত্রপাত প্রেমের সম্পর্ক। এরপর একসাথে শুরু পথ চলা। দু বছর প্রেম করার পর বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে নেয় এই জুটি। টলিপাড়াতে এখন বিয়ের মরশুম আর তাই আর দেরী না করে নতুন বছর পড়তেই সেই তালিকায় নাম লিখিয়ে নিলেল ইমন চক্রবর্তী ও নীলাঞ্জন ঘোষ।
২০২০ তে দুর্গাপুজোর সময়ে তৃতীয়ার তিথিতে পরিবারের সম্মতিতে প্রথমে নিজেদের বাগদান পর্ব সারেন। এরপর ১লা ফেব্রুয়ারীতে প্রথমে আইনি বিয়ে সারেন এই লাভ বার্ডস। এখানেই শেষ নয়। ২রা ফেব্রুয়ারি হিন্দু আচার মেনে প্রথমে গায়ে হলুদ এরপর হাতে শাখা পলা পড়ে লাল বেনারসী আর সোনার গহনা পড়ে সুন্দর করে সেজে নিজের মনের মানুষের সাথে সাত পাকে ঘুরলেন ইমন চক্রবর্তী। এদের বিয়ে শেষ হতে না হতে অনুরাগীরা শুভেচ্ছাবার্তায় ভরিয়ে দিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ার পাতা।
বিয়ের এক সপ্তাহ হয়নি বিয়ের পর পরই ফের স্বাভাবিক জীবনের ছন্দে ফিরতে হয়েছে নতুন বিবাহিত দম্পতিকে। দুজনেই একসাথে কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন । বিয়ের পর প্রথম স্টেজ শো করতে দেখা গিয়েছে বিবাহিতা ইমনকে। আর সেই শোয়ের পোস্ট নিজেই ইমন। করলেন নিজের ফেসবুক পেজে। যেখানে দেখা যায় গায়িকা সুন্দর একটি বেগুনি রঙের কাতান বেনারসি শাড়ি আর মাথায় সিদুঁর পড়ে স্টেজে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করতে বেশ ব্যস্ত। শাঁখা-পলা না পরে খোলামঞ্চে গান গেয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচকদের একাংশের ক্ষোভেরমুখে পড়তে হয়েছে গায়িকাকে।
কেউ বলে উঠলো হাতে শাখা-পলা কোথায় তাঁর? আবার কেউ বললো যতই সেলিব্রিটি হোক, আদতে তো বাঙালি। শাঁখা-পলাটা পরা উচিত ছিল। নতুন বিয়ে বলে কথা। খুব ভাল থাকবেন আর বিবাহিত জীবন খুব সুখের হোক।’ এমনই নানা ধরনের কমেন্ট নজরে আসে তাঁর ছবিতে। ছবি পোস্ট করতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় নানান ভাবে ট্রোল্ড হতে হয়। ট্রোল্ড হওয়া গায়িকার কাছে নিত্যনতুন কিছু নয়। প্রতিবার প্রতিবাদ করেছেন ইমন। এবারেও করলেন, তিনি বললেন,তাঁর কাছে নীলাঞ্জন এবং তাঁর আশেপাশের মানুষরা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। শাখা-পলা পরে নিজের স্বামীকে তিনি কতটা ভালবাসেন তা কিন্তু প্রমাণ হয়না। আজীবন নীলাঞ্জনের পাশে থাকার যে শপথ নিয়েছেন তিনি, তা তাঁদের ব্যবহারে প্রমাণ হবে।