Income Tax: ৩১ শে ডিসেম্বর পর্যন্ত রয়েছে সুযোগ, নাহলে দিতে হবে ১০ হাজার টাকার জরিমানা
প্রতিটি ভারতীয় নাগরিকের মৌলিক কর্তব্য হল তার রোজগারের হিসেব অর্থমন্ত্রককে দেওয়া এবং নিয়মমাফিক সঠিক সময়ে আয়কর রিটার্ন দাখিল করা। কোনো ভারতে বসবাসকারী ব্যক্তি, প্রবাসী ভারতীয়, অংশীদারি সংস্থা, এলএলপি, কোম্পানি এবং ট্রাস্টের জন্য প্রতি বছর আয়কর রিটার্ন দাখিল করা বাধ্যতামূলক। ভারতীয় নাগরিক এবং প্রবাসী নাগরিকদের আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হবে, যদি তাদের আয় বার্ষিক ২.৫ লাখ টাকার বেশি হয়। মালিকানা সংস্থা এবং অংশীদারি সংস্থাগুলিকে আয়কর রিটার্নের প্রয়োজন – আয় বা ক্ষতির পরিমাণ নির্বিশেষে। টার্নওভার বা মুনাফা নির্বিশেষে সমস্ত কোম্পানি এবং এলএলপিগুলিকে বাধ্যতামূলকভাবে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হবে।
তবে সঠিক সময়ে আয়কর রিটার্ন দাখিল না করলেই কিন্তু সকলকে পড়তে হবে অনেক সমস্যায়। এক্ষেত্রে যেমন যেকোনো আর্থিক বিনিয়োগ আটকে যেতে পারে, তেমনই আবার বিলম্বিত আয়কর রিটার্ন ফাইল করলে গুনতে হবে জরিমানা। ৩১ শে জুলাই শেষ হয়েছে এই কাজটি করার সময়সীমা। তবে এখন বিলম্বিত আয়কর রিটার্ন ফাইলের সুযোগ রয়েছে করদাতাদের জন্য। তাই ১ লা আগস্ট থেকে ৩১ শে ডিসেম্বরের মধ্যে আয়কর রিটার্ন ফাইল করলে গুনতে হবে ৫ হাজার টাকার জরিমানা। ৩১ শে ডিসেম্বরের পরে ITR ফাইল করলে ১০ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে।
উল্লেখ্য, ব্যক্তিগত করদাতাদের জন্য আয়কর রিটার্ন দাখিলের জন্য নির্ধারিত তারিখ প্রতি বছরের ৩১ শে জুলাই। পাশাপাশি, কর নিরীক্ষার প্রয়োজন এমন কোম্পানি এবং করদাতার জন্য আয়কর রিটার্ন দাখিলের শেষ তারিখ ৩০ শে সেপ্টেম্বর। আয়কর আইনের ধারা 44AD আয়কর আইনের অধীনে কর নিরীক্ষা করা হয়। তবে ব্যবসার ক্ষেত্রে, ট্যাক্স অডিট প্রয়োজন হবে যদি ব্যবসার মোট বিক্রয় টার্নওভার বা মোট প্রাপ্তি আগের কোনো বছরে ১ কোটি টাকার বেশি হয়।
এছাড়াও, যেকোনো পেশাদারের ক্ষেত্রে, ট্যাক্স অডিট প্রয়োজন হবে যদি তারা বছরের যেকোনো একটি হাফে ৫০ লক্ষ টাকার বেশি রোজগার করে থাকেন। এছাড়াও ব্যবসার ক্ষেত্রে মোট বিক্রয় বা টার্নওভার টাকার যদি ২ কোটি টাকার বেশি হয়, তাহলে ট্যাক্স অডিট প্রয়োজন হবে। তাই এসব সমস্যা থেকে বাঁচতে সঠিক সময়ে আয়কর রিটার্ন ফাইলের পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা।