আর থাকছে না DA নিয়ে কোনো অসন্তোষ, মুখ্যমন্ত্রী নিজেই করে দিলেন বিরাট ঘোষণা
রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে DA বা মহার্ঘভাতা নিয়ে অসন্তোষ রয়েই গেছে। কয়েকমাস আগে অবধি বাংলায় রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে DA আন্দোলন দেখা গিয়েছিল। তবে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের জন্য এই বিষয়ে একের পর এক সুখবর এসেছে চলতি বছরে। ২০২৩-এর শুরুতেই কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের DA বৃদ্ধির খবর সামনে এসেছিল। জুলাই মাসে সেই সিদ্ধান্তে সিলমোহর দিয়েছে কেন্দ্র। কিন্তু রাজ্য সরকার যেন মহার্ঘভাতার বিষয়টি নিয়ে একশো শতাংশ ঔদাসীন্যতা দেখাচ্ছে।
এদিকে বকেয়া DA-র দাবিতে সরকারি কর্মীদের আন্দোলন হয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। এমনকি কেন্দ্রীয় সরকারের প্রদত্ত মহার্ঘভাতার হারে রাজ্য সরকারি কর্মীদের DA বৃদ্ধির দাবিতে দীর্ঘদিন লড়ছে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের তিনটি সংগঠন। তবে তাদের দাবি সবথেকে বেশি আঘাত পেয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া এক বিবৃতিতে। সুখবর নয়, উল্টে আরো বেশি করে অসন্তুষ্ট হয়েছিলেন তারা। তবে এবার উত্তরবঙ্গ আওফরে গিয়ে বিরাট ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার জিটিএ কর্মীদের জন্য এক বিরাট ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এই খবরে খুশির জোয়ারে ভাসছেন জিটিএ কর্মীরা।
শুক্রবার উত্তরবঙ্গ সফরে কার্শিয়াঙে সরকারি অনুষ্ঠানে যোগদান করেন মুখ্যমন্ত্রী। আর সেদিন সেই মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী জিটিএ কর্মীদের গ্রাচুইটি বৃদ্ধির ঘোষণা করেন। অর্থাৎ এরপর থেকে অবসর গ্রহণের পরে দারুন সুবিধা পাবেন জিটিএ কর্মীরা। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এরপর থেকে যে সব জিটিএ কর্মীরা অবসর গ্রহণ করবেন, তাঁরা ২০ লক্ষ টাকা করে গ্র্যাচুইটি পাবেন। এছাড়াও অবসরের সময় ১০ মাসের লিভ এনক্যাশমেন্টেরও সুবিধা পাবেন জিটিএ কর্মীরা।” একইসঙ্গে তিনি বলেন, “এবার থেকে জিটিএর স্থায়ী কর্মীদের বেতন ২০০৯ ও ২০২১ সালের বেতন নীতি অনুযায়ী পরিবর্তন করা হবে।”
এদিকে রাজ্য সরকারি অন্যান্য কর্মীদের ডিএ বৃদ্ধির প্রসঙ্গে কয়েকদিন আগে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে DA প্রদান বাধ্যতামূলক নয়। এটি একটি অপশন বা বিকল্প মাত্র। পূর্ববর্তী বামফ্রন্ট সরকারের জমা করা পাওনা পরিশোধের কারণে রাষ্ট্রীয় কোষাগার নিষ্কাশন করা হচ্ছে। কিন্তু আমরা রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের জন্য অতিরিক্ত বার্ষিক ছুটি দিয়ে তা পূরণ করি। কেন্দ্রীয় সরকার মাত্র ৩, ৪ দিন ছুটি দেয়, কিন্তু আমরা তার থেকে কয়েক গুণ বেশি ছুটি দিই।” যদিও তার এই দুরকম মনোভাব নিয়ে ইতিমধ্যে রাজ্যে তৈরি হয়েছে জলঘোলা।