Income Tax: শুধুমাত্র রোজগার নয়, এইসব সম্পত্তি থাকলেও আয়কর ফাইল রিটার্ন করতে হবে
ভারতে নতুন আর্থিক বছর শুরু হয়েছে ১লা এপ্রিল থেকেই। আর নতুন অর্থবর্ষ মানেই নতুনভাবে আয়কর ফাইল করার সময় আসন্ন। ২০২২-২৩ আর্থিক বছরের জন্য আয়কর রিটার্ন ফাইল করার প্রক্রিয়াও ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। আর এই প্রক্রিয়া চলবে আগামী ৩১ শে জুলাই অবধি। এই নির্দিষ্ট তারিখের আগেই করযোগ্য ব্যক্তিদের আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হবে। দুটি পদ্ধতিতে এই কাজ করা যায়। প্রথমত, পুরানো ট্যাক্স ব্যবস্থা কিংবা নতুন ট্যাক্স ব্যবস্থার অধীনে আইটি ফাইল করতে পারেন। যদিও এই দুটি কর ব্যবস্থায় ট্যাক্স স্ল্যাবও হয় ভিন্ন ভিন্ন।
আর এবার বিদেশি সম্পত্তি বা বিদেশের ব্যাঙ্কে টাকা রাখলে তার ক্ষেত্রে আয়করের পরিমান নিয়ে বড়সড় আপডেট দিলো ভারতীয় অর্থমন্ত্রক। আয়কর দফতর জানিয়েছে যে বিদেশে সম্পত্তি থাকলে ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের জন্য আপনার আয়কর রিটার্নে ফরেন অ্যাসেটস বা বিদেশী আয়ের উৎস (FSI) সময়সূচী পূরণ করুন। তবে কেউ যদি এই ধরনের তথ্য দিতে ব্যর্থ হয়, তাহলে কালো টাকা এবং কর আরোপ আইন, ২০১৫- এর অধীনে ১০ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হতে পারে।
এছাড়াও এমন ভারতীয় নাগরিকদের মনে রালহও উচিত যে তাদের ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ এর মধ্যে তার মালিকানাধীন বিদেশী সম্পত্তির জন্য বিদেশী সম্পদের সময়সূচী পূরণ করতে হবে। এমনকি তকর কোনো করযোগ্য আয় না থাকলেও তার আপনার আয় মৌলিক ছাড়ের সীমার আওতায় আসে। এই তথ্যটি অন্য কোন সময়সূচীতে (যেমন তফসিল AL) প্রবেশ করানো হয়েছে কিনা কিংবা তার সেই সম্পত্তি বিদেশী বা অভ্যন্তরীণ আয়ের প্রকাশিত উৎস থেকে উদ্ভূত/অর্জিত বিদেশী সম্পদ কিনা, তারও বিবরণ দেওয়া জরুরি এক্ষেত্রে।
এবার বিদেশি সম্পত্তি বলে কোন কোন বিয়গুলিকে বিবেচিত করা হবে, তাও জানা দরকার। এক্ষেত্রে আয়কর বিভাগের এই বিশেষ কলামে বলা হয়েছে যে বিদেশি সম্পত্তির মধ্যে পড়ে – বিদেশী ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, বিদেশী সংস্থায় বিনিয়োগের পরিবর্তে অর্জিত ইক্যুইটি এবং ঋণ কোনো ব্যবসায় আর্থিক বিনিয়োগ, বিদেশে থাকা যেকোনো স্থাবর সম্পত্তি, অন্য কোন মূলধন সম্পদ এবং তফসিল FA-তে উল্লেখ করা অন্য কোনো বিদেশী সম্পদ।