Income Tax: আয়করের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বিষয়ে বড়সড় নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের
ভারতে নতুন আর্থিক বছর শুরু হয়েছে ১লা এপ্রিল থেকেই। আর নতুন অর্থবর্ষ মানেই নতুনভাবে আয়কর ফাইল করার সময় আসন্ন। ২০২২-২৩ আর্থিক বছরের জন্য আয়কর রিটার্ন ফাইল করার প্রক্রিয়াও ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। গত ৩১ শে জুলাই ছিল আয়কর জমা দেওয়ার শেষ তারিখ। এই নির্দিষ্ট তারিখের আগেই করযোগ্য ব্যক্তিদের আয়কর রিটার্ন দাখিল না করা হলে করযোগ্য সেই ব্যক্তিকে নোটিস পাঠায় আয়কর দফতর। তবর এবার আয়কর দফতর ও করদাতাদের এইসব বিষয়গুলিকে নিয়ে এক বড়সড় রায় দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
সম্প্রতি, কলকাতা হাইকোর্টে পর্ক লেদার কোম্পানি এবং ওআরএস বনাম সিআইটি মামলায়, আদালত এমন একটি পরিস্থিতির মোকাবেলা করেছে যেখানে আয়কর বিভাগের একটি ব্যবস্থায় স্থানান্তরের কারণে মূল্যায়নকারীকে অচলাবস্থায় ফেলে দেওয়া হয়েছিল। উল্লেখ্য, এই মামলায় আবেদনকারী সিআইটি আপিল কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তাকে চ্যালেঞ্জ করেছিল। মামলার গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলির মধ্যে রয়েছে আপিল ফাইল করা। এক্ষেত্রে অভিযোগ এটাই ছিল যে আপিলটি মূলত ম্যানুয়ালি দায়ের করা হয়েছিল কিন্তু ট্রাইব্যুনালের আদেশের পর নতুন ব্যবস্থার অধীন হয়ে গেছে।
এছাড়াও এই মামলার আরেকটি দিক ছিল ফেসলেস সিস্টেমে পরিবর্তন। এক্ষেত্রে নতুন ফেসলেস সিস্টেমের অধীনে কে আপিল পরিচালনা করবে সে সম্পর্কে বিভাগের মধ্যে স্পষ্টতার অভাব আবেদনকারীর বিভ্রান্তি এবং হতাশার দিকে পরিচালিত করে। এছাড়াও আয়কর কর্তৃপক্ষের দ্বারা অগ্রহণযোগ্য অবস্থানকেও তুলে ধরা হয় এই মামলায়। আদালত দৃঢ়ভাবে এই বিষয়টির সমালোচনা করে বলেছে যে আবেদনকারী নতুন সিস্টেমের অধীনে আপীল কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ করবে, এটিকে হয়রানি বলে অভিহিত করে।
এসবের পাশাপাশি কলকাতা হাইকোর্ট এই মামলায় অভিযোজন এবং স্বচ্ছতার গুরুত্ব দেয়। নতুন সিস্টেম বাস্তবায়নের সময় এই রায়টি স্পষ্ট যোগাযোগ এবং প্রশাসনের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেয়। বিশেষ করে যখন তারা উল্লেখযোগ্যভাবে একজন ব্যক্তির অধিকারকে প্রভাবিত করতে পারে। অর্থাৎ একটি নতুন আইনি বা পদ্ধতিগত প্রক্রিয়া চালু করার সময় দ্রুত অভিযোজন, সঠিক যোগাযোগ, এবং পুঙ্খানুপুঙ্খ প্রশাসনের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।