Income Tax: এইসব ব্যক্তিদের ৩০% অবধি আয়কর জমা দিতে হবে, পাওয়া যাবে না কোনো ছাড়
ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে নতুন অর্থবর্ষ। আর ২০২৩-২৪ আর্থিক বছরের জন্য আয়কর রিটার্ন জমা করার প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গিয়েছে। যাদের আয় করযোগ্য তাদের জন্য আয়কর রিটার্ন জমা করা বাধ্যতামূলক। এর পাশাপাশি বিভিন্ন আয় অনুযায়ী বিভিন্ন পরিমাণ কর জমা করতে হয়। এর জন্য আয়করের বিভিন্ন স্ল্যাব করা হয়েছে। একই সময়ে, নতুন কর ব্যবস্থা এবং পুরানো কর ব্যবস্থা অনুসারে কর সংগ্রহ করা হয়। তবে, এখন কিছু লোককে ৩০ শতাংশ ট্যাক্সও দিতে হবে। চলুন জেনে নেই সে সম্পর্কে।
ব্যক্তিগত করদাতাদের ক্ষেত্রে ব্যক্তিবিশেষে আয়করের পরিমান আলাদা আলাদা হয়ে থাকে। যে ব্যক্তি যে স্ল্যাবের মধ্যে পড়েন, তার ভিত্তিতেই তাকে আয়কর জমা দিতে হয়। ব্যক্তিরা তাদের আয়ের ভিত্তিতে একটি ভিন্ন কর স্ল্যাবে পড়তে পারে। ফলে উচ্চ আয় যারা করেন তাঁদেরকে বেশি কর দিতে হবে। দেশের কর ব্যবস্থা অভিন্ন রাখতে স্ল্যাব পদ্ধতি কার্যকর করা হয়েছে। এবার প্রশ্ন হচ্ছে যে আয় অনুযায়ী কত শতাংশ আয়কর দিতে হবে এক ব্যক্তিকে। পরের অনুচ্ছেদে বিষয়টি দেখে নিন বিস্তারিত।
ভারতের নতুন কর ব্যবস্থায় আয় অনুযায়ী আয়করের পরিমান নির্ধারণ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে যাদের ক্ষেত্রে বার্ষিক আয় ৩ লক্ষ টাকার কম, তাদের ক্ষেত্রে কোনো আয়কর জমা করার প্রয়োজন নেই। তবে যাদের ৩ থেকে ৬ লক্ষ টাকা বার্ষিক আয়, তাদের ক্ষেত্রে আয়ের ৫ শতাংশ কর হিসেবে জমা করতে হবে। যারা ৬ থেকে ৯ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বার্ষিক আয় করেন, তাদের মোট আয়ের ১০ শতাংশ কর দিতে হবে। অন্যদিকে ৯ থেকে ১২ লক্ষ টাকা বার্ষিক আয় যাদের, তাদের ক্ষেত্রে আয়করের পরিমান ১৫ শতাংশ। ১২ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা যাদের বার্ষিক আয়, তাদের ক্ষেত্রে মোট আয়ের ২০ শতাংশ কর হিসাবে জমা দিতে হবে। তবে বার্ষিক ১৫ লক্ষ টাকার উপরে আয় রয়েছে যাদের, তাদের ক্ষেত্রে ৩০ শতাংশ কর জমা দিতে হবে।
এবার আপনি বাড়িতে বসে সহজেই আয়কর জমা করতে পারবেন। এর জন্য আপনাকে আয়কর বিভাগের ই-ফাইলিং পোর্টালে (https://eportal.incometax.gov.in/) -এ যেতে হবে। সেখানে পরপর কয়েকটি ধাপ সম্পূর্ন করলেই আয়কর জমা করা যাবে। আইটি রিটার্ন জমা দিতে হলে প্যান কার্ড, আধার কার্ড, ফর্ম 16, ফর্ম 26-S, স্যালারি স্লিপ, সেকশন 80-C বিনিয়োগ, ভাড়ার স্লিপ, ব্যাঙ্ক ও পোস্ট অফিসের সুদের হারের সার্টিফিকেট।