Railway Job: ট্রেন চালক হওয়ার স্বপ্ন দেখেন! এই যোগ্যতা থাকলে আপনিও পেতে পারেন এই চাকরি
দেশের সবথেকে বড় গণ পরিবহণ মাধ্যম হল রেল। নিত্য দিন কোটি কোটি মানুষ নির্ভরশীল ভারতীয় রেলের (Indian Railways) উপর। পাশাপাশি দেশের কোণায় কোণায় ছড়িয়ে গিয়েছে রেল পরিষেবা। যা আরও বিস্তারের কাজ চলছে। টুই ভারতীয় রেলকে বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম রেলওয়ে নেটওয়ার্ক-এর তকমা দেওয়া হয়। যার পুরো ট্র্যাকের দৈর্ঘ্য ৬৭ হাজার ৩৬৮ কিমি। ভারতীয় রেলের ট্র্যাক বিশাল ১১৫,০০০ কিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত এবং এটি বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম নেটওয়ার্ক, যা একক ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হয়। পাশাপাশি ভারতীয় রেল ৪টি ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের তকমাও পেয়েছে কয়েকবছর আগে।
ভারতীয় রেলে যেমন রয়েছে প্রাচীনতা, তেমনই রয়েছে বৈচিত্র। লোকাল, এক্সপ্রেস, সুপারফাস্ট, সেমি হাইস্পিড সহ একাধিক ধরণের ট্রেন চলে ছোট ও বড় রুটে। এছাড়াও মাল পরিবহনের জন্য চলে মালগাড়ি। লাইনের উপর দিয়ে অটোমেটিক ট্রেন চলে যায়, কিন্তু তার গতি নিয়ন্ত্রণ থেকে সিগন্যাল অনুযায়ী ট্রেন থামানো এবং গন্তব্যে স্টপেজ দেওয়ার গুরুদায়িত্ব থাকে রেল চালকের উপর। রেল চালককে বলা হয় লোকো-পাইলট। প্রতিটি রেল ইঞ্জিনের দায়িত্বে থাকেন দুজন লোকো-পাইলট।
এবার এই চাকরি কিন্তু সহজে পাওয়া যায়না। এই চাকরি পেতে হলে অনেক কাঠ-খড় পোড়াতে হয়। কারণ এটি রেলওয়ে রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের গ্রুপ-বি পদের অন্তর্গত। আর এই গ্রুপ-বি পদে চাকরি পাওয়া মোটেই মুখের কথা নয়। এইসব পদে চাকরি পেতে হলে আগে স্বীকৃত বোর্ড থেকে মাধ্যমিক বা সমতুল পরীক্ষা কিংবা উচ্চমাধ্যমিক কিংবা সমতুল্য পরীক্ষায় পাশ করতে হবে। এছাড়াও ইয়াৰ পদে চাকরির আবেদন করতে হলে মেকানিকাল, ইলেকট্রনিক বা অটোমোবাইল নিয়ে ২ বছরে আইটিআই ডিগ্রি কোর্স করতে হবে।
এবার এইসব যোগ্যতা থাকলে তবেই রেলওয়ে রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী আবেদন করার পর নানা পদ্ধতিতে নিয়োগ করা হয়। এর জন্য প্রথমে দিতে হয় লিখিত পরীক্ষা। তারপর আসে ইন্টারভিউয়ের পালা। এই দুই পরীক্ষায় পাশ করলে তবেই শারীরিক সক্ষমতা পরীক্ষা দিতে পারে যায়। এইসব পরীক্ষায় পাশ করলে তবেই চাকরি পাওয়া যায়। এবার চাকরি পাওয়ার পর প্রত্যেক লোকো-পাইলটকে সপ্তাহে কমপক্ষে ৩৬ ঘন্টা ডিউটি করতে হয়। এর বেশি ডিউটি করলে অতিরিক্ত বেতন পাওয়া যায়। এছাড়াও এই পদে ম্যাট্রিক্স পদ্ধতিতে বেতন পাওয়া যায়।