ঘর সাজানো মানেই লাখ লাখ টাকা খরচ করা নয়: ইন্দ্রানী হালদার
ছোটপর্দায় ‘শ্রীময়ী’ থেকে ‘গোয়েন্দা গিন্নি’ অথবা বড় পর্দায় ‘দহনের’ ‘ঝিনুক’, বরাবর তাঁর অভিনয়ে মুগ্ধ হয়েছেন দর্শকেরা। গতকাল জি বাংলার একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে তিনি ঘোষণা করেন তিনি খুব শিগগিরই জি বাংলার পর্দায় ফিরছেন। গোয়েন্দা গিন্নি রূপে তাঁকে আবার দেখা যাবে কিনা এই জল্পনা তিনি উস্কে দিয়েছেন।
অন্দরমহলের বিষয়ে খুবই পরিপাটি তিনি। ঘর সাজাতে তিনি বরাবরই ভালোবাসেন। “ঘর সাজানো মানেই লাখ লাখ টাকা খরচ করা নয়। ঘর সাজানো হচ্ছে শৌখিন ভাবনার ফসল।” এমনটাই মনে করেন অভিনেত্রী ইন্দ্রানী হালদার। তার মতে ঘর সাজানোর কাজ যারা করেন তারা তাদের ক্রিয়েটিভিটি বিক্রি করেন। তিনি ঘর সাজানোর কাজ করে অনাবিল আনন্দ পান। তিনি নানা পুরানো বোতলকে নতুনভাবে সাজাতেও ভালোবাসেন।
শ্রীময়ীর পর তার হাতে এখন অখণ্ড অবসর। যদিও মৈনাক ভৌমিকের কুলের আচারে তাকে দেখা যাবে। তিনি গয়নার কালেকশন জমাচ্ছেন এই সময়ে। অনেক সুন্দর সুন্দর গয়না কম দামে বিক্রি করার ব্যবস্থা করছেন তিনি। যদিও তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন তিনি কোন ব্যবসায় নাম লেখাচ্ছেন না। ঘরের অব্যবহৃত জিনিসপত্র থেকে তিনি নতুন জিনিস তৈরি করতে বরাবরই পছন্দ করেন।
তিনি পুরীর পিপলি গ্রাম থেকে তার ঘর সাজানোর জিনিসপত্র সংগ্রহ করে আনেন। এমনকি তিনি একটি প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে তীর-ধনুক সংগ্রহ করে এনেছেন। কারণ তিনি তীরন্দাজি করতে খুব ভালোবাসেন।
তিনি একদমই ঘর সাজানোর জিনিসপত্র কিনে আনতে পছন্দ করেন না। যা কিছু অবহেলায় পড়ে থাকে তা তিনি সযত্নে ঘর সাজানোর উপকরণ হিসেবে বেছে নেন। ইন্দ্রানী হালদারের মতে দেখার মতো চোখ থাকতে হয়। এছাড়াও তাঁর অন্দরমহলের বেশিরভাগ জিনিসই তাকে উপহার দেওয়া। যদিও তার ঘরের সাজসজ্জা একবার চোখে পড়লে যে কেউ বুঝতে পারবেন তিনি সুনিপুণ অভিনয় করার পাশাপাশি কতটা শৈল্পিক মননের মানুষ।