শ্রীময়ীর মতো আমারও যদি এক রোহিত সেন থাকত: ইন্দ্রাণী হালদার
স্টার জলসার জনপ্রিয় সিরিয়াল ‘শ্রীময়ী’ শেষের পথে। শুটিং শেষ হয়ে গিয়েছে। ‘শ্রীময়ী’-র কাহিনী শেষ হয়ে গেল। কিন্তু ইন্দ্রাণী হালদার (Indrani Halder)-এর কাহিনীতে এসেছে খানিক বদল। টানা তিন বছরের অভ্যাসে সামান্য হলেও এসেছে পরিবর্তন। সকালে উঠে শুটিংয়ের যাওয়ার তাড়া নেই আপাতত। 2019 সালের 10ই জুন থেকে শ্রীময়ীকে ধারণ করেছিলেন ইন্দ্রাণী। প্রথমদিকে শ্রীময়ীর সঙ্গে মিল খুঁজে পেতেন না তিনি। কোনোদিন সংসারের জন্য সর্বহারা হতে রাজি নন ইন্দ্রাণী।
প্রথম পর্যায়ের শ্রীময়ী মাটির মানুষ। সংসারের জন্য আত্মত্যাগ ছিল তার জীবনের মূল মন্ত্র। যা নিজের জীবনে চান না ইন্দ্রাণী। তিনি কষ্ট পেয়ে মানিয়ে নেওয়ার ঘোরতর বিরোধী। জায়গা ছেড়ে দেওয়া বা মুখ বুজে অত্যাচার কোনোদিন মেনে নেননি ইন্দ্রাণী। তিনি মনে করেন, একটাই জীবন। একজন মানুষের নিজের জীবনে সুখী হওয়ার সম্পূর্ণ অধিকার রয়েছে। কিন্তু যেদিন শ্রীময়ী বাইরে বেরোল, নিজের চোখে চিনল এই পৃথিবীর স্বরূপ, সেই মুহূর্ত থেকে তাকে নিয়ন্ত্রণ করতে শুরু করলেন ইন্দ্রাণী। তবে যেকোন সম্পর্কে ঝগড়া স্বাভাবিক। দীর্ঘ চব্বিশ বছরের দাম্পত্যে অনেকবার ইন্দ্রাণীর সাথে তাঁর স্বামীর ঝগড়া হয়েছে।
কিন্তু ভাস্কর (Bhaskar) কখনও ইন্দ্রাণীর সম্মানহানি করেননি। তবু ইন্দ্রাণী ঝগড়ার পর অল্প বয়সে ভাবতেন ডিভোর্স দেবেন ভাস্করকে। কিন্তু তারপর মনে হত, ডিভোর্স করে আর একটা বিয়ে করলে সেও তো ঝগড়া করতে পারে। ভাস্করই কিন্তু ইন্দ্রাণীর ভালো বন্ধু। ফলে সবকিছুই আবার ঠিকঠাক হয়ে যেত। একটু বেশি বয়সে বিয়ে করেছেন বলে সন্তান নেননি ইন্দ্রাণী ও ভাস্কর। তাও শ্রীময়ীকে দেখে ইন্দ্রাণীর হিংসা হয়, তাঁরও যদি একটা রোহিত সেন থাকত!
তবে শ্রীময়ীর সঙ্গে রোহিত সেনের বিয়েতে নেটিজেনদের একাংশ অখুশি হয়েছিলেন। অথচ শ্রীময়ীর বিয়েতে জোর দিয়েছিলেন ইন্দ্রাণীই। তাঁর ভাবনাকে সমর্থন করেছিলেন লীনা গঙ্গোপাধ্যায় (Leena Ganguly)। শ্রীময়ীর বিয়ের বিষয়ে ইন্দ্রাণী তাঁর বন্ধুদের বলতেন, তাঁদের মতামত রেকর্ড করে পাঠাতে। এমনকি স্টেজ শো, বিয়েবাড়ি প্রত্যেক স্থানে তিনি মানুষকে জিজ্ঞাসা করতেন, শ্রীময়ী বিয়ে করে ঠিক করছে কিনা! সকলের মতামত রেকর্ড করে নিজের ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করতেন ইন্দ্রাণী। এমনকি নিজের মাকেও জিজ্ঞাসা করেছিলেন, শ্রীময়ীর বিয়ে হলে কেমন হয়! সমর্থন করেছিলেন মাও। তবে ইন্দ্রাণীর মতে, বিয়ে করা বাধ্যতামূলক নয়। যদি কোনো মহিলার স্বামী তাঁকে দিনের পর দিন কষ্ট দিতে থাকেন, তাহলে সেই স্বামীকে ছেড়ে একা থাকা উচিত অথবা যাঁর সঙ্গে ভালো থাকবেন, তাঁর সঙ্গে থাকা উচিত।
শোনা গিয়েছিল, ‘গোয়েন্দা গিন্নি’ আবার ফিরছে। তবে ইন্দ্রাণী জানিয়েছেন, চ্যানেলের তরফে তাঁর সঙ্গে এই ব্যাপারে এখনও কোনও যোগাযোগ করা হয়নি।