টলিউডের সাম্প্রতিক ব্লকবাস্টার ‘প্রজাপতি’-র মাধ্যমে বড় পর্দায় ডেবিউ করেছেন শ্বেতা ভট্টাচার্য (Sweta Bhattacharya)। পাশাপাশি নতুন ধারাবাহিক ‘সোহাগ জল’-এ অভিনয় করছেন শ্বেতা। এই কারণে ‘প্রজাপতি’-র প্রোমোশন সহ বিভিন্ন ইভেন্টে উপস্থিত থাকতে পারেননি তিনি। শ্বেতা প্রতিভায় বিশ্বাস করেন। তা থাকলে সিরিয়ালের অভিনেতা-অভিনেত্রীদের পক্ষে ফিল্মে সুযোগ পাওয়া সম্ভব। দশ বছরের বেশি সময় ধরে ধারাবাহিকে অভিনয় করছেন শ্বেতা। তিনি জানালেন, তাঁর ভালো থাকার ওষুধ হল কাজ। কাজই তাঁকে অবসাদ থেকে দূরে রাখে।
তবে বড় পর্দা হোক বা ছোট পর্দা, প্রতি রবিবার কাজ থেকে ছুটি নেন শ্বেতা। বছরের প্রথম দিন পয়লা জানুয়ারি তিনি কাজ করেন না। সেদিন কাজ থাকলেও তাঁকে আগে ছেড়ে দেওয়ার শর্ত দেন শ্বেতা। কারণ শ্বেতা প্রচুর মাচা শো করেন। ফলে আগে ছাড়তেই হয়। তিনি চান একের পর এক কাজ করতে। মাচা শো করতে পছন্দ না করলেও শ্বেতার মাথার উপর অনেক দায়িত্ব রয়েছে। ফলে বেশি অর্থ উপার্জনের জন্য তাঁকে এই ধরনের শো করতে হয়। প্রকৃতপক্ষে, শ্বেতার মা-বাবা দুজনেই অসুস্থ। তাঁর মায়ের দুই বার স্ট্রোক হয়েছে। ডান চোখে দেখতে পান না তিনি। চিকিৎসক বলেছেন, এবার স্ট্রোক হলে শ্বেতার মাকে আর বাঁচানো যাবে না। ফলে মাকে বাড়িতে একা রাখতে চান না। নিজের সাথে শুটিংয়ে নিয়ে আসেন।
শৈশবের লড়াই ছিল অত্যন্ত কঠিন। অধিকাংশ দিনই নুনভাত খেয়ে কাটত শ্বেতার। দাদাকে হারিয়েছিলেন শৈশবেই। বাড়ির অভাবের কথা বাইরে বলতে বারণ করতেন তাঁর মা। তিনি বলতেন, বাইরে কেউ জিজ্ঞাসা করলে শ্বেতা যেন বলেন, তিনি মাছ-ভাত খেয়েছেন অথবা মাংস-ভাত খেয়েছেন। একবেলা খাবার পেলেও বেশির ভাগ দিন রাতে ভাবতে হত, কি খাবেন। এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে বর্তমানে মা-বাবাকে ভালো রাখতে চান শ্বেতা।
তবে কাজের জন্য কখনও এমন কোনো সিদ্ধান্ত শ্বেতা নেননি যাতে ভবিষ্যতে তাঁর অনুশোচনা হয়। শুটিংয়েও খোলামেলা বা স্লিভলেস পোশাক পরেন না শ্বেতা। চুম্বন দৃশ্যে কাজ করতে রাজি নন তিনি। বর্তমানে রুবেলের সাথে শ্বেতার সম্পর্কের কথা কারও অজানা নয়। তবে এখনই বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন না তাঁরা।
View this post on Instagram
