শুভশ্রী (Subhashree Ganguly) বলেছিলেন, তিনি এমন ধরনের চরিত্রে অভিনয় করতে চান যা তাঁর রাতের ঘুম উড়িয়ে দিতে পারে। সেদিক দিয়ে দেখতে গেলে ‘ইন্দুবালা’-র চরিত্র যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং। এর আগে আপকামিং ওয়েব সিরিজ ‘ইন্দুবালা ভাতের হোটেল’-এর এক মিনিট তিপ্পান্ন সেকেন্ডের টিজার ভাইরাল হয়েছিল নেটদুনিয়ায়। কিন্তু, বৃহস্পতিবার, 9 ই ফেব্রুয়ারি শুভশ্রী ঘোষণা করলেন ইন্দুবালার আগমনের দিন-ক্ষণ।
আগামী 8 ই মার্চ হোলির দিন হইচই-এ স্ট্রিমিং হতে চলেছে শুভশ্রীর ডেবিউ ওয়েব সিরিজ ‘ইন্দুবালা ভাতের হোটেল’। এই সিরিজের মাধ্যমে বহুদিন পর আবারও এসভিএফ-এর প্রযোজনায় কাজ করলেন শুভশ্রী। কল্লোল লাহিড়ী (Kallol Lahiri) রচিত উপন্যাস ‘ইন্দুবালা ভাতের হোটেল’ অবলম্বনে তৈরি হয়েছে এই ওয়েব সিরিজ। পরিচালনা করেছেন দেবালয় ভট্টাচার্য (Debalay Bhattacharya)। ইন্দুবালার চরিত্রে প্রস্থেটিক মেকআপের মাধ্যমে শুভশ্রীকে দেওয়া হয়েছে বৃদ্ধার লুক। এর আগেও ইন্দুবালার লুকে শুভশ্রীর কয়েকটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল। তবে সেই ছবিগুলিতে দেখা গিয়েছিল, মুখে প্রস্থেটিকের মাধ্যমে বয়সের আঁকিবুঁকি কাটা হলেও শুভশ্রীর হাত কিন্তু পেলব। ইন্দুবালার মতো এক অভূতপূর্ব চরিত্রে প্রস্থেটিকের এই ধরনের খুঁত অবশ্যই কাম্য নয়। তবে ওয়েব সিরিজটি দেখলে বোঝা যাবে, প্রস্থেটিকের সঠিক ব্যবহার হয়েছে কিনা!
View this post on Instagram
ইন্দুবালা আসলে পূর্ববঙ্গ ছেড়ে পশ্চিমবঙ্গে চলে আসা বহু মহিলাদের প্রতিভূ। পার্টিশন বা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে বারবার আহত হয়েছেন মেয়েরাই। কখনও সম্মানহানি হয়েছে তাঁদের। হারিয়েছেন প্রাণ। তবু মহিলারা লড়াই থামাননি। পার্টিশনের পর অনেকেই এক বস্ত্রে চলে এসেছিলেন এপারে। শূন্য হাতে পরিবারের স্বার্থে বহু মহিলা সেই সময় এই ধরনের ছোটখাট হোটেল খুলেছিলেন। ইন্দুবালার কাহিনী প্রায় এরকমই । তবু অনেক বয়সেও বিশ্রাম চাননি তিনি। নিজের কাজটুকু করে যেতে চেয়েছেন।
আমাদের ঘরে ঘরে রয়েছেন ইন্দুবালারা। শুভশ্রী পারবেন তো স্বপ্নের নয়, বাস্তবের ইন্দুবালা হয়ে উঠতে? উত্তর পাওয়া যাবে আগামী 8 ই মার্চ।
View this post on Instagram