Hoop PlusReality show

Saregamapa: ভালো গান গেয়েও রাজনীতির শিকার অ্যালবার্ট কাবো! ফলাফলে খুশি নন দর্শকরা

বারবার প্রশ্নের মুখে পড়ছে জি বাংলার জনপ্রিয় সিঙ্গিং রিয়েলিটি শো ‘সারেগামাপা’-র ফিনালের ফলাফল। রবিবারও তার ব্যতিক্রম ঘটল না। এদিন সম্প্রচারিত হল ‘সারেগামাপা’-র গ্র্যান্ড ফিনালে। এতক্ষণে নিশ্চয়ই কারও অজানা নয়, চলতি বছর ‘সারেগামাপা’-র বিজয়ী হয়েছেন পদ্মপলাশ হালদার (Padmapalash Halder) ও অস্মিতা কর (Asmita Kar)। সকলকে অবাক করে দিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন অ্যালবার্ট কাবো (Albert Kaboo)। তৃতীয় স্থান পেয়েছেন সোনিয়া গ্যাজমের (Sonia Gazmer)। বিতর্ক শুরু হয়েছে এখানেই।

আবারও ‘সারেগামাপা’-র ফলাফল ঘিরে উঠেছে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ। বিচারকরা এই ফলাফল ঘোষণার পরই নেটদুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে অসন্তোষ। অনেকেই মনে করছেন, প্রথম থেকে অ্যালবার্ট সকলের মন জয় করেছেন। ফলে ‘সারেগামাপা’-র যুগ্ম বিজয়ীর মধ্যে একটি নাম তাঁর হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু তাঁর পরিবর্তে বিজয়ী হলেন পদ্মপলাশ ও অস্মিতা। প্রসঙ্গত, পদ্মপলাশের সঙ্গীতগুরু অজয় চক্রবর্তী (Ajay Chakraborty)। ফলে অনেকেই মনে করছেন বিচারকরা সঙ্গীতগুরুর মন রাখতেই বিজয়ী বানিয়েছেন পদ্মপলাশকে। তবে এটি কিন্তু প্রথমবার নয়, এর আগেও একাধিক রিয়েলিটি শোয়ে সেরা হয়েছেন অজয়বাবুর ছাত্রছাত্রীদের একাংশ। ফলে আবারও অজয়বাবুর প্রভাবকে সন্দেহের তালিকায় ফেলেছেন নেটিজেনরা। কারণ দিনের শেষে তাঁরাই কিন্তু ভগবান।

অনেকেই লিখেছেন, অ্যালবার্ট সেরা হয়েও বিচারকদের ভুল সিদ্ধান্তের বলি হলেন। পক্ষপাতিত্ব অবশ্যই হয়তো হয়েছে। কিন্তু অ্যালবার্ট কতটা যোগ্য ছিলেন, তা একবার জানা দরকার। অ্যালবার্ট বাংলা গান গাইতে পারতেন না। তাঁর গলায় বারবার হিন্দি গান শোনা গিয়েছে। কিন্তু জি বাংলায় সম্প্রচারিত ‘সারেগামাপা’ আঞ্চলিক ভাষা অর্থাৎ বাংলার দাবি রাখে। সেই দিক থেকে এগিয়ে গিয়েছেন পদ্মপলাশ। কিন্তু শুধুমাত্র আঞ্চলিক ভাষার কারণে তিনি কতটা দাবিদার সেরার শিরোপার? সম্পূর্ণ সিজনটি দেখলে বোঝা যাবে, পদ্মপলাশকে কঠিন গানের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেওয়া হয়নি। খারাপ কীর্তন গাইলেও তাঁকে ডেঞ্জার জোনে পাঠানো হয়নি। ফলে পদ্মপলাশের প্রতি স্পষ্ট ধরা পড়ছে পক্ষপাতিত্ব। তবে ‘ভিউয়ারস চয়েস’ অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন অ্যালবার্ট।

‘ভিউয়ারস চয়েস’ প্রমাণ করছে দর্শকদের বিচারে বিজয়ী অ্যালবার্ট। তাহলে কি অ্যালবার্টকে বাংলার তরফে পাঠানো হতে পারে জি টিভির সর্বভারতীয় রিয়েলিটি শো ‘সারেগামাপা’-য়। কারণ হিন্দি গানে তাঁর দক্ষতা অভূতপূর্ব। পাশাপাশি অ্যালবার্ট এসেছেন উত্তরবঙ্গের নর্থ-ইস্ট সমাজ থেকে। ফলে সর্বভারতীয় ‘সারেগামাপা’ -র ক্ষেত্রে অ্যালবার্টের হাত ধরে নর্থ-ইস্ট অঞ্চলে বিখ্যাত হওয়ার সুযোগ রয়েছে। কিন্তু পদ্মপলাশ শুধুমাত্র বাঙালি হিসাবে বাংলার প্রতিনিধি হিসাবে পরিচিতি পেতে পারেন সর্বভারতীয় মঞ্চে। এই কারণে সম্পূর্ণ রিয়েলিটি শো ফরম্যাট খতিয়ে দেখলে বোঝা যাচ্ছে অ্যালবার্টের পাল্লা ভারি রয়েছে। একই বিতর্ক কয়েক বছর আগে তৈরি হয়েছিল স্নিগ্ধজিৎ(Snigdhajit)-এর ক্ষেত্রেও। সম্ভাবনা সত্ত্বেও জি বাংলার ‘সারেগামাপা’ জিততে পারেননি তিনি। কিন্তু পরবর্তীকালে তাঁকে দেখা গিয়েছে জি টিভির সর্বভারতীয় ‘সারেগামাপা’-য়। সেখানে রীতিমত প্রশংসিত হওয়ার পাশাপাশি স্নিগ্ধজিৎ-এর জন্য খুলে গিয়েছে বলিউডের দরজা। ইতিমধ্যেই মুম্বইয়ে ফিল্মে প্লে ব্যাক করেছেন তিনি। একই ফরম্যাট কি অনুসরণ করা হচ্ছে অ্যালবার্টের জন্য? উত্তর দেবে সময়।