whatsapp channel

মায়ের অতিরিক্ত টাকার লোভে ‘কোই মিল গয়া’ খ্যাত শিশুশিল্পী অত্যাচারের শিকার হন

বহুদিন আগে কলকাতা শহরের বুকে একটি ঘটনা শোনা গিয়েছিল। এক রিয়েলিটি শো বিজয়ী দশ-বারো বছরের মেয়েকে তার মা-বাবা হরমোন ইঞ্জেকশন দিয়ে পরিণত তরুণী বানানোর চেষ্টা করেছিলেন, তবে অবশ্যই শারীরিক ভাবে।…

Avatar

Nilanjana Pande

বহুদিন আগে কলকাতা শহরের বুকে একটি ঘটনা শোনা গিয়েছিল। এক রিয়েলিটি শো বিজয়ী দশ-বারো বছরের মেয়েকে তার মা-বাবা হরমোন ইঞ্জেকশন দিয়ে পরিণত তরুণী বানানোর চেষ্টা করেছিলেন, তবে অবশ্যই শারীরিক ভাবে। কিন্তু মেয়েটি মৃত্যুর মধ্য দিয়ে এর মাশুল গুনেছিল। সাম্প্রতিক কালে ‘এসকেপ’ নামে একটি ওয়েব সিরিজেও এই ধরনের ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে। সমাজের এটি একটি বিশেষ সমস্যা যা সামনে এলেও ধামাচাপা পড়ে যায়। কেউ জানেন না, শিশুদের কিভাবে রক্ষা করবেন। কারণ ভারতীয় পরিকাঠামোয় শিশুর প্রতি দায়িত্ব পালন না করলেও অভিভাবকরা রেহাই পেয়ে যান। হরমোন ইঞ্জেকশনের অভিযোগ উঠেছিল বলিউডের অন্দরেও। শোনা যায়, তার ভিকটিম হয়েছিলেন হংসিকা মোতওয়ানি (Hansika Motwani)।

সাম্প্রতিক কালে সাতপাকে বাঁধা পড়েছেন হংসিকা। তবে একসময় শিশুশিল্পী হিসাবে বলিউডে কাজ শুরু করেছিলেন তিনি। মাত্র বারো বছর বয়সে হৃত্বিক রোশন (Hrithik Roshan) অভিনীত ফিল্ম ‘কোই মিল গয়া’-য় অভিনয় করেছিলেন হংসিকা। কিন্তু এই ফিল্মের চার বছরের মধ্যেই নায়িকার চরিত্রে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। তখন হংসিকা ষোড়শী। কিন্তু খুব অদ্ভুত ভাবে তাঁকে দেখতে কুড়ি বছরের মেয়ের মতো লাগছিল যা সত্যিই সকলের কাছে অস্বাভাবিক লেগেছিল। অনেকের মতে, হংসিকাকে হরমোন ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়েছিল শারীরিক ভাবে পরিণত করার জন্য।

এই প্রসঙ্গে হংসিকার মা বলেছিলেন, তিনি টাটা-বিড়লাদের তুলনায় ধনবান নন। ফলে মেয়েকে হরমোন ইঞ্জেকশন দেওয়ার ক্ষমতা তাঁর নেই। একই সুর ছিল হংসিকার গলাতেও। তিনিও একটি সাক্ষাৎকারে দাবি করেছিলেন, একটি মানুষ সেলিব্রিটি হলেই যে যা পারেন, তাঁকে নিয়ে লিখতে শুরু করেন। অপরদিকে হংসিকার মা দাবি করেছিলেন, তাঁরা পঞ্জাবি। পঞ্জাবি মেয়েরা বারো থেকে ষোল বছর বয়সের মধ্যেই পরিণত হয়ে ওঠে।

কিন্তু হংসিকার মা সম্পূর্ণ মিথ্যাচার করেছিলেন। মোতওয়ানি পরিবার কোনো কালেই পঞ্জাবি ছিলেন না। হংসিকার পরিবার সিন্ধি। তাঁর পিতা প্রদীপ মোতওয়ানি (Pradeep Motwani) একজন ব্যবসায়ী। হংসিকার মা মোনা মোতওয়ানি (Mona Motwani) একজন ডার্মাটোলজিস্ট। এই খানেই রয়েছে ক্লু। প্রথমতঃ, নাবালিকাদের হরমোন ইঞ্জেকশন দিলেও তা যথেষ্ট আটঘাট বেঁধেই দেওয়া হয়। কারণ সারা পৃথিবী জুড়ে এটি বেআইনি। কিন্তু এই তথ্য বাইরে আসতে না দেওয়ার জন্য যথেষ্ট ব্যবস্থা গ্রহণ করে তবেই একজন নাবালিকাকে হরমোন ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়। দ্বিতীয়ত: হরমোন ইঞ্জেকশনের দাম আকাশছোঁয়া নয়। একজন ডার্মাটোলজিস্ট মা ও একজন ব্যবসায়ী পিতা সহজেই সেই ব্যয় বহনের ক্ষমতা রাখেন। তাছাড়া হংসিকা শিশুশিল্পী হিসাবে যথেষ্ট সফল ছিলেন। ফলে অভিনয় ও মডেলিং মিশিয়ে তিনিও খুব কম অর্থ উপার্জন করেননি। কিন্তু মায়ের মতোই হংসিকাকেও হরমোন ইঞ্জেকশনের ব্যাপারটি অস্বীকার করতে হয়েছে। কারণ এই তথ্য প্রকাশ পেলে ভারতীয় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে হংসিকার ব্যান হয়ে যাওয়ার সম্পূর্ণ সম্ভাবনা রয়েছে।

 

View this post on Instagram

 

A post shared by Hansika Motwani (@ihansika)

whatsapp logo