শেষ অবধি গলার হার নাকি টিকলি, কি ঘটল ‘নিম ফুলের মধু’-তে!
ওয়ার্ড্রোব ম্যালফাংশন মহিলাদের জন্য অত্যন্ত সাধারণ ঘটনা। কিন্তু গয়না পরার ক্ষেত্রে কোনোরকম সমস্যা তাঁরা সৃষ্টি করতে রাজি নন। তবে এটা যদি বড় পর্দা বা ছোট পর্দা হয়, তাহলে মেকআপ আর্টিস্টরা সাধারণতঃ গোঁজামিল দেওয়ার চেষ্টা করে থাকেন। এমন ঘটনাই ঘটল জি বাংলার ধারাবাহিক ‘নিম ফুলের মধু’-র ক্ষেত্রে। এই ধারাবাহিকের টিআরপি যথেষ্ট ভালো। সেরা পাঁচ ধারাবাহিকের তালিকায় থাকা ‘নিম ফুলের মধু’-তে শেষে বিয়ের কনের টিকলি জুটল না। পরিবর্তে মাথায় পরতে হল গলার হার।
অবিশ্বাস্য হলেও এটি সত্য ঘটনা। ‘নিম ফুলের মধু’-র সাম্প্রতিক পর্বে দেখানো হয়েছে সৃজন ওরফে বাবুর মা, বৌদি এবং ঈশা ষড়যন্ত্র করছে পর্ণার বিরুদ্ধে। বাবুর মা পর্ণাকে সরিয়ে ঈশাকে পূত্রবধূ বানাতে চায়। বিয়ের অনুষ্ঠান অবধি ঘটনা এগিয়ে গেলেও সৃজন বিয়ে করে তার স্ত্রী পর্ণাকেই। পর্ণার স্থান সে কাউকে দিতে পারবে না। দর্শকদের অবশ্য ঘটনাক্রম পছন্দ হয়েছে। কিন্তু বিয়ের সাজে চূড়ান্ত ট্রোল করা হয়েছে ঈশাকে। বিয়ে স্পেশ্যাল পর্বে ঈশার মাথায় টিকলির পরিবর্তে পরানো হয়েছিল লাল পুঁতির চোকার। বোঝাই যাচ্ছিল, এটি স্রেফ গলার হার ছাড়া আর কিছুই নয়। এরপরেই কনের সাজে ঈশার লুক চূড়ান্ত ট্রোল হয় নেটদুনিয়ায়। নেটিজেনদের একাংশ লিখেছেন, টিকলি কেনার টাকা নেই বোধহয়।
অনেকে লিখেছেন, গলার হার কি করে টিকলি হয়ে গেল! অনেকে লিখেছেন, পাবলিককে এত সহজে বোকা বানানো যায় না। প্রকৃতপক্ষে সমস্যাটি টিকলি বা গলার হারের নয়। এই ধরনের সাজ সাজিয়ে দেওয়ার জন্য আর্টিস্টের যে ধরনের জ্ঞানের প্রয়োজন হয়, তার যথেষ্ট অভাব রয়েছে ঈশার লুকে। বিয়েবাড়িতে একটু লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, অনেক ক্ষেত্রেই নেকপিসকে মাথার অ্যাকসেসরিজের মতো ব্যবহার করে সাজেন কনেরা। কিন্তু সেটি পরানো হয় মাথার ক্রাউন অংশের উপর দিয়ে মুকুটের মতো করে। অথচ এখানে হারটিকে শুধুমাত্র মাথার সাথে বেঁধে দেওয়া হয়েছে মনে হচ্ছে।
বিভিন্ন মডেলিং অ্যাসাইনমেন্টেও নেকপিসকে হেয়ার অ্যাকসেসরিজের লুক দেওয়া হয়। ফলে ঈশার ব্রাইডাল লুক যিনি সৃষ্টি করেছেন, তাঁর উচিত ছিল হারটির সঠিক ব্যবহার করা।
View this post on Instagram