আজই চিনির বদলে খাওয়া শুরু করুন এই খাবার, সব রোগ পালাবে মাত্র একটা টোটকায়
স্বাস্থ্যই (Health) সম্পদ, একথা নিশ্চয়ই শুনে থাকবেন। শরীর সুস্থ থাকলে মন ভাল থাকে, কাজে উৎসাহ পাওয়া যায়, বাড়ে উদ্যম। শারীরিক স্বাস্থ্যের সঙ্গে জড়িয়ে মানসিক স্বাস্থ্যও। তাই এখন আরো সচেতন হচ্ছে মানুষ। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা, স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খাওয়ার দিকে বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে। দৈনন্দিন খাবারের তালিকাতেও যদি একটু কাটছাঁট করা যায় তাহলে সু্স্বাস্থ্যের দিকে আরো এক ধাপ এগোনো সম্ভব। এই প্রতিবেদনে থাকল নিত্যদিনের ডায়েটে গুড়ের (Jaggery) উপকারিতা।
মিষ্টি কমবেশি সকলের খাবারেরই অপরিহার্য অঙ্গ। এক্ষেত্রে অধিকাংশ মানুষই বেশি পছন্দ করেন চিনি। কিন্তু নিয়মিত খাবারের মধ্যে দিয়ে চিনি শরীরে প্রবেশ করলে একাধিক গুরুতর সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। অতিরিক্ত চিনি শরীরের বড়সড় ক্ষতিসাধন করতে সক্ষম। তবে উপায়? মিষ্টি কি তাহলে খাবেন না? নিশ্চয়ই খাবেন, তবে চিনি নয়, খেতে পারেন গুড়। চিনির থেকে অনেকটাই কম ক্ষতিকারক গুড়, একথা স্বীকার করেন চিকিৎসকরাও।
আখ, খেজুরের রস এমনকি তাল থেকেও তৈরি করা হয় গুড়। জানলে অবাক হবেন, আপাত সাধারণ এই গুড়ের মধ্যেই রয়েছে অবিশ্বাস্য গুণাবলী। চিনির বদলে নিয়মিত গুড় খেলে শরীর তো সুস্থ থাকবেই, উপরন্তু বেশ কিছু উপকারিতাও পাবেন। সেগুলো কী কী, চলুন জেনে নেওয়া যাক। গুড় থেকে পাওয়া যায় ক্যালোরি। এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, সেলেনিয়াম এবং জিঙ্কের মতো খনিজ যেগুলো শরীরে ফ্রি রেডিক্যাল প্রতিরোধ করে। হজম প্রক্রিয়াতে খুবই উপকারী গুড়। তাই শুধু খাবারে মিষ্টতা আনতেই নয়, খাবার খাওয়ার পরেও গুড় খাওয়া উপকারী। এতে খাবার ভাল ভাবে পরিপাক হয়।
গুড় শরীরের মধ্যেকার হজমে সাহায্যকারী এনজাইমগুলিকে সক্রিয় করে তোলে। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও দূর হয়। এখানেই শেষ নয়, শরীর থেকে খাবার টক্সিন বের করে লিভার ভাল রাখাতেও গুড়ের ভূমিকা অপরিসীম। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকলেও রোজের ডায়েটে গুড় যোগ করলে উপকার পাবেন। এছাড়া মহিলাদের PMS এর সমস্যারও প্রতিকার করে গুড়। কিন্তু গুড় কারা খাবেন না? উল্লেখ্য, যারা ওজন কমাতে চান বা যারা ডায়াবেটিসের রোগী তাদের গুড় কম পরিমাণে খাওয়া উচিত।