ভারতের এই বিখ্যাত শহরকে সুন্দর করে সাজিয়ে তোলেন নৈহাটির এক বাঙালি
জন্ম নৈহাটিতে, নাম বিদ্যাধর ভট্টাচার্য। ১৭৩২ খ্রিস্টাব্দে মহারাজা জয়পুর শহর নির্মাণের জন্য তাঁকে অনুরোধ করেছিলেন। এই জয়পুরই হলো ভারতের প্রথম পরিকল্পিত শহর। তিনি একজন ভারতীয় বাঙালি যিনি প্রধান স্থাপত্যশিল্পী, গণিতবিদ, বাস্তুশাস্ত্রী এবং নগর পরিকল্পনাবিদ। তাঁর স্থাপত্যকর্মের দেশীয় এবং প্রথাগত পদ্ধতির উপকরণ ব্যবহার বিশেষ ভূমিকা নিয়েছিল।
জয়পুর শহরের পরিকল্পনা নিয়ে তিনি মহারাজ সাওয়াই জয় সিং এর সঙ্গে আলোচনা করেছিলেন। ১৭৭২ সালে কৌশলগত পরিকল্পনার সাথে তিনি শহরটি নির্মাণ শুরু করেছিলেন। প্রথমে প্রাসাদ, তারপরে রাস্তাঘাট সম্পূর্ণ করতে প্রায় দীর্ঘ চার বছর সময় লেগেছিল।
জয়পুরের সেরা সংরক্ষিত বাগান গুলির মধ্যে একটি হলো ‘বিদ্যাধর বাগান’। জয়পুর থেকে ৮ কিলোমিটার পূর্বে জয়পুর আগ্রা সড়কে এই ‘বিদ্যাধর বাগান’ অবস্থিত। এটি বিদ্যাধর ভট্টাচার্যের স্মৃতির উদ্দেশ্যে নির্মিত হয়। এই বাগানটি প্রাচীন গ্রন্থ সমূহের ভিত্তিতে পরিকল্পনা করা হয়।
একজন বাঙ্গালী হিসাবে সুদূর জয়পুরে গিয়ে তিনি যে তার কৃতিত্ব কে প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছেন তার জন্য তাঁকে কুর্নিশ জানাতে হয়। তবে তাঁর কথা হয়তো আমাদের অনেকেরই অজানা। জয়পুর বেড়াতে গিয়ে আমরা সবাই মুগ্ধ হই। কিন্তু এই শহরের পরিকল্পনার পিছনে যে একজন বাঙালি মানুষের হাত রয়েছে তা জানার পর বাঙালি হিসাবে আমাদের গর্ব খানিকটা বেড়েই যায়।