সম্প্রতি ট্রেলার মুক্তি পেয়েছে অপরাজিতর। সত্যজিৎ রায়ের জন্মশতবার্ষিকীতে ভূতের ভবিষ্যৎ খ্যাত পরিচালক অনীক দত্ত শ্রদ্ধার্ঘ্য জানাতে এই সিনেমা বানিয়েছেন। এই সিনেমায় সত্যজিৎ রায়ের ভূমিকায় অভিনয় করতে চলেছেন জিতু কামাল। যার লুক ইতিমধ্যেই দর্শকদের কাছে প্রশংসিত হয়েছিল। এ যেন হুবহু সত্যজিৎ, হাঁটাচলা থেকে কথা বলার ধরণ সবটাই যেন তার মত।যে সিনেমা প্রথমবার ভারতীয় চলচ্চিত্রকে বিশ্বদরবারে নিয়ে গিয়েছিল সেই পথের পাঁচালীর নেপথ্য কাহিনী তুলে ধরেছেন পরিচালক অনীক দত্ত।
কিন্তু নিন্দুকেরা তো সমালোচনা করতে থামেন না। এবার এই সমালোচনার জবাব দিলেন জিতু কামাল নিজেই। জিতু ফেসবুক পোস্টে লেখেন ঠুনকো প্রচারে আমি নেই। দাঁত, পা, মাথা এই সব নিয়ে চর্চা, এ আমার কাছে কাম্য নয়। তাই, এইসব খবর হোক, তা আমি কোনোদিন চাই নি, চাইবোও না। পরিশ্রম, নিষ্টা, এবং একাগ্রতা দিয়ে বহুসংখ্যক মানুষের প্রচেষ্টায় একটি যত্নশীল কাজ উপস্থাপিত হতে চলেছে আগামী ১৩ই মে। সেই আলোচনাই ওয়ালে ওয়ালে ছাপা হোক। আমার, সাত-কুলের ভাগ্য যে,আমি এই কাজটি করার সুযোগ পেয়েছি। ধন্যবাদ অনীক দত্ত মহাশয়কে।ধন্যবাদ হাসানদা কে।’
বাংলা সিনেমার জয়গান গাইতে গিয়ে জিতুর পাশে দাঁড়িয়েছেন জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী সুদীপ্তা চক্রবর্তী। সুদীপ্তা তার ফেসবুক পোস্টে লেখেন,’এক অপেক্ষাকৃত নবীন অভিনেতার ভাগ্যে জুটেছে বাংলা সিনেমায় এক মহীরুহের চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ। তিনি কেমন অভিনেতা আমি জানি না। কখনো দেখা হয়ে ওঠেনি। এই সিনেমায় তিনি কেমন অভিনয় করেছেন জানি না। সিনেমা মুক্তি পেলে দেখে জানব। কিন্তু প্রকৃতই সেই চরিত্র হয়ে ওঠার জন্য তাঁর অবিশ্বাস্য চেষ্টা, বিভিন্ন অনলাইন মিডিয়ার দৌলতে যেটুকু জানতে পারলাম, তা অবশ্যই কুর্নিশ যোগ্য। এমন চরিত্র যে রোজ রোজ কোন অভিনেতার ভাগ্যে জুটবে না, সে তো বোকাও জানে। আর একমাত্র চেহারার সাদৃশ্যের জন্যই যে এই চরিত্র তাঁর কপালে জুটেছে, তা ও তাঁর অজানা নয়। তাই তাঁর এই অভূতপূর্ব (বাংলা বাজারে) চেষ্টা প্রশংসার দাবি রাখে বইকি!! তো সেই চেষ্টা কে খামখা ছোট করে দেখানোর জন্য বেশ খিল্লি চলছিল দুদিন ধরে। Biggies রা নিজেদের আড্ডায় আর smallies রা সোশ্যাল মিডিয়ায় করছিলেন, মানে যেমন টা করে থাকেন আর কি।’
জিতুর স্ত্রী বরাবর তার পাশে থেকেছেন যেকোনো পরিস্থিতিতেই। স্বামী জিতুর ঢাল হয়ে নবনীতা সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন,’বিশেষ মানুষের আদল নিজের মধ্যে রপ্ত করতে নিজের দাঁত গুলোকেও ঘষে ঘষে, তার উপর ক্যাপ পরে, সেই বিখ্যাত মানুষের দাঁতগুলোর সমতুল্য করার চেষ্টাতেও পিছপা হওনি তুমি। বহু শিল্পী, শিল্পের স্বার্থে বহু আত্মত্যাগ করে এসেছেন, আমার মতে সেগুলোও সামনে আসা দরকার, খুবই দরকার। তাই, এই লুকোনো কথাটা তোমায় না জানিয়েই পোস্ট করলাম, তোমার অনিচ্ছা থাকা সত্বেও’।