পাঞ্জাবি পরিবারের সিঙ্ঘমের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছিলেন বলিউডের মোস্ট বিউটিফুল, চার্মিং লেডি কাজল। সালটা ১৯৯৯। অজয়ের সঙ্গে সাত পাক ঘুরে এখনও বহাল তবিয়তে সংসার করছেন বি টাউনের দক্ষ অভিনেত্রী কাজল। একি সঙ্গে প্রোডাকশন হাউসের কাজ করছেন, কখনো কখনো একই সঙ্গে পর্দায় কাজ করছেন। সব মিলিয়ে কাজল-অজয় হল আজকের দিনে একটি সফল জুটি। ১৯৯৯ সালে এই জুটি হয়তো তৈরিই হত না যদি না তনুজা কাজলের পাশে থাকতেন।
View this post on Instagram
কাজলের বাবা সোমু মুখোপাধ্যায় নাকি মেয়ের এতো কম বয়সে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি। তখন কাজলের বয়স ছিল মাত্র ২৪। ক্যারিয়ার তখন তাঁর মধ্যগগণে। হেন কোন মানুষ ছিলেন না সেই সময় যাদের পছন্দের তালিকায় কাজল নেই। কাজল তখন ঘরের মেয়ে হয়ে উঠেছিলো দর্শকদের কাছে। যাই অভিনয় করতেন তাই হিটের তালিকায় পৌঁছে যেত। এমনকি ঠিক তখনই শাহরুখ-কাজলের জুটি বিনোদন জগতে সাড়া ফেলে দিয়েছিল।
কাজলের বাবা ও মা তনুজা আলাদা থাকতেন। মায়ের কাছেই মানুষ কাজল। বাবার সঙ্গে যোগাযোগ থাকলেও মায়ের হাতেই গড়ে উঠেছিলেন তিনি। তাই তাঁর বিয়েতে মাকে দেবদূতের মতো কাছে পেয়েছিলেন অভিনেত্রী। মায়ের অবদান আজও তাঁর ঠোঁটের গোঁড়ায় সবসময় লেগে থাকে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে কাজল তাঁর স্মৃতির পাতা উল্টে সকলের সঙ্গে শেয়ার করে বলেছেন, “মাত্র ২৪ বছরে আমার বিয়ে করাটা মেনে নিতে পারছিলেন না বাবা। তিনি বলেছিলেন, বিয়ের আগে আমার আরও কাজ করা উচিত। কিন্তু সেই সময় মা আমাকে সমর্থন করেছিলেন। আমার মনের কথা শুনতে বলেছিলেন। আমার সৌভাগ্য যে সেই সময় সকলে আমার পাশে দাঁড়িয়েছিল। তাই আমি আমার ইচ্ছামতো কাজ করতে পেরেছিলাম।”
অভিনেত্রী কাজলের কথায় তাঁকে এখনও পর্যন্ত পুরুষতন্ত্রের মুখোমুখি হতে হয়নি। আবার হয়তবা পুরুষতন্ত্রের মুখোমুখি হয়েছেন তিনিও। সবটাই তাঁর কাছে এলোমেলো। কাজলের কথায় তাঁর বাবা নাকি টানা চার দিন তাঁর সঙ্গে কথা বলেননি রাগ করে। কিন্তু যেই অভিনেত্রী তাঁর দক্ষতার জোরে, জেদ বহাল রেখে এতদুর এগিয়ে যেতে পারেন তিনি যে সামান্য ব্যক্তিগত কারণে হেরে যাবেন তা কি করে হয়! সেদিনও নিজের সিদ্ধান্তে অনড় থেকেই সুখী দাম্পত্য এখনও এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন বলিউডের অন্যতম সুন্দরী ও দক্ষ ডিভা কাজল।
View this post on Instagram