Hoop PlusHoop TrendingTollywood

মিমিকে কটাক্ষ করে করোনার ভুয়ো টিকা নিয়ে মুখ খুললেন বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিক

করোনার ভুয়ো টিকা নিয়ে সরগরম হয়ে উঠেছে রাজনৈতিক মহল। এই চক্রের জাল ক্রমশ বিছিয়ে গিয়েছিল চারিদিকে। এবার এই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন অভিনেতা ও উত্তরপাড়ার বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিক (kanchan mullick)।

কিন্তু কাঞ্চনের বক্তব্য সত্যিই খুব অদ্ভুত। টিকা নেওয়ার পর হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন অভিনেত্রী-সাংসদ মিমি চক্রবর্তী (Mimi Chakraborty)। কাঞ্চন কিছুটা হলেও কটাক্ষ করেছেন মিমিকে। তিনি বলেছেন, জাল টিকা দেওয়া যথেষ্ট অন্যায় কাজ। কিন্তু সচেতন নাগরিকদের কিছু বিষয় জানা উচিত। টিকা নিতে গেলে নাম নথিভুক্ত করতে হয়। তার জন্য আধার কার্ডের প্রয়োজন পড়ে। তারপর টিকাকরণ হয় এবং সার্টিফিকেট দেওয়া হয়। ফোনে মেসেজ আসে। এমনিতেই কাঞ্চন ও শ্রীময়ী (sreemoyee chattaraj)-এর সম্পর্ক নিয়ে দলের অন্দরেও রীতিমতো অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। তার উপরে এবার মিমিকে নিয়ে কটাক্ষ করে বিপাকে পড়তে পারেন কাঞ্চন, এমনটাই মনে করছেন অনেকে।

করোনার ভুয়ো টিকাকরণ কান্ডে অভিযুক্ত দেবাঞ্জন (Debanjan) তাঁর জাল ছড়িয়েছিলেন টলিউড ইন্ডাস্ট্রির মধ্যেও। সেখানে দেবাঞ্জনের পরিচিতি ছিল গায়ক হিসাবে। এমনকি দেবাঞ্জনের একটি মিউজিক অ্যালবামও রিলিজ করেছে। তার উপর একাধিক ব্যক্তিকে ফিল্মে অভিনয়ের সুযোগ পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে প্রতারণা করেছেন দেবাঞ্জন। তবে করোনার ভুয়ো টিকাকরণ কান্ডের আগে এসব কিছুই কারও নজরে আসেনি। রীতিমতো আটঘাট বেঁধে কাজ করতেন দেবাঞ্জন।

তাঁর গাড়িতে কলকাতা পুরসভার স্টিকার লাগানো থাকত। তাঁর সঙ্গে আরেকটি গাড়িতে থাকতেন তাঁর দেহরক্ষী। দেবাঞ্জনের আওতায় থাকা কর্মচারীদের মাইনে জমা পড়ত একটি নামী ব্যাঙ্কে। দেবাঞ্জনের জাল বিছানোর সুনিপুণতায় কারো বিন্দুমাত্র সন্দেহ হয়নি করোনার টিকা নিয়ে। মিমিও দেখেছিলেন তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ ও দুঃস্থ মানুষদের বিনামুল‍্যে টিকা দেওয়া যথেষ্ট ভালো উদ্যোগ। তিনিও বুঝতে পারেননি এটি একটি জাল চক্র। ফলে সবার সঙ্গে তিনিও টিকা নিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁকে বলা হয় তিন-চারদিন পরে সার্টিফিকেট পাওয়া যাবে। এমনকি কোউইং-এও টিকার সার্টিফিকেট না থাকায় মিমির সন্দেহ হয়। তিনি সঙ্গে সঙ্গেই বিষয়টি প্রশাসনকে জানিয়েছিলেন। মিমির অভিযোগের সূত্র ধরেই নজরে আসে আরও একটি ঘটনা। জানা যায়, আর্মহার্স্ট স্ট্রিট সিটি কলেজেও ভুয়ো করোনা টিকা দিয়েছেন দেবাঞ্জন। এই ক্ষেত্রেও কলেজের অধ্যক্ষ বুঝতে পারেননি দেবাঞ্জনের জালিয়াতি। সুতরাং নিজেদের মধ্যে কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি ও কটাক্ষ না করে কাঞ্চনের উচিত বিস্তারিত ভাবে তদন্তের দাবি জানানো। কারণ রীতিমতো প্রভাবশালী ব্যক্তির হস্তক্ষেপ না থাকলে এই ধরনের জাল চক্র চালানো সম্ভব নয়।

Related Articles