পৃথিবীতে এমন কোনো ঘটনা নেই যা নিয়ে মুখ খোলেন না কঙ্গনা রাণাওয়াত (kangana Raunat)। সুশান্ত সিং রাজপুত (sushant singh Rajput)-এর মৃত্যুরহস্যই হোক বা কার্তিক আরিয়ান (kartik aryan )-এর হাত থেকে ফিল্ম চলে যাওয়া হোক। ইতিমধ্যে তাঁর টুইটার অ্যাকাউন্ট ডিঅ্যাক্টিভেট করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কঙ্গনাকে থামানো কারও সাধ্য নেই। এবার তিনি তাঁর ইন্সটাগ্রাম স্টোরির মাধ্যমে ঘটাচ্ছেন বিস্ফোরণ। কিছুদিন আগে তাপসী পন্নু (Tapasee pannu)-কে তাঁর সীমারেখা স্মরণ করিয়ে দেওয়ার পর এবার কঙ্গনা মুখ খুললেন আমির খান (Amir khan) ও কিরণ রাও (kiran Rao)-এর পুত্রের ধর্ম নিয়ে।
সম্প্রতি আমির খান (Amir khan) ও কিরণ রাও (kiran Rao) তাঁদের বিয়েতে ইতি টেনে দিয়েছেন। এবার কঙ্গনা বিস্ফোরক হলেন ইসলাম ধর্ম নিয়ে। তাঁর প্রশ্ন হল, কেবলমাত্র ইসলাম ধর্মাবলম্বী মানুষদের বিয়ে করার ক্ষেত্রে কেন ধর্ম পরিবর্তন করে মুসলমান হতে হবে? কঙ্গনা লিখেছেন, পঞ্জাবি পরিবারে এক পুত্রকে হিন্দু হিসাবে এবং অপর পুত্রকে শিখ হিসাবে বড় করা হয়। কিন্তু আমির ও কিরণের বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনায় অবাক কঙ্গনা বলেছেন, হিন্দু ধর্মাবলম্বী কিরণ ও মুসলমান ধর্মাবলম্বী আমিরের ছেলে আজাদ (Azad Rao khan) শুধুমাত্র মুসলমান ছেলে হিসাবে পরিচিত হল কেন? কঙ্গনার মতে, যদি একটি পরিবারে নাস্তিক, হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, রাধাস্বামী মতে বিশ্বাসী মানুষ একত্রে থাকতে পারেন, তাহলে শুধুমাত্র মুসলমান ধর্মের ক্ষেত্রেই নিয়ম বদলে যায় কেন?
প্রসঙ্গত, কিরণ রাও নিজেকে নাস্তিক বলেন। বিয়ের পরেও তিনি শুধুমাত্র ‘রাও’ পদবী ব্যবহার করতেন। তাঁর নামের পাশে ‘খান’ যুক্ত ছিল না। আজাদের নামের সঙ্গে ‘রাও’ ও ‘খান’ দুটি পদবী ব্যবহার করে নাম রাখা হয়েছে ‘আজাদ রাও খান’।
তবে আমির ও কিরণের পুত্রসন্তানের নাম ‘আজাদ’ রাখা হয়েছে স্বাধীনতা সংগ্রামী মৌলানা আবুল কালাম আজাদ (moulana abul kalam azaad)- এর নামে। মৌলানা আবুল কালাম আজাদের বংশধর হলেন আমির খান।
কিন্তু কঙ্গনা মনে করেন, সময়ের সঙ্গে মানুষের চিন্তাধারার পরিবর্তন প্রয়োজন। ইসলাম ধর্মের মানুষকে বিয়ে করে ধর্মান্তরকরণের প্রক্রিয়া বন্ধ করা উচিত।