“ঐশ্বর্য ভরা রঙিন এই পৃথিবীর বুকে
সময়ের সমুদ্রে শৈশবের স্মৃতিগুলো আঁকা থাকে।”- শৈশবে ফিরে যাওয়ার ইচ্ছে কমবেশি সকলেরই হয়। হোক না যেমন খুশি রং। সেই দিনগুলি যে ছিল এমনই আনন্দ ও নিরানন্দে পরিপূর্ণ। সাধারণ মানুষ থেকে সেলিব্রিটি, সকলেই অবসর সময়ে পুরানো এলবামে চোখ রেখে ফিরে যেতে চান পুরানো সেই দিনের গল্পে। যেখানে ছোট্ট ছোট্ট পায়ে চলতে চলতে ক্লান্ত হয়ে মুখ লুকিয়ে দেওয়া যেত বাবার বুকে কিংবা মায়ের কোলে।
মিমি চক্রবর্তী (Mimi Chakraborty), টলিউডের অন্যতম সফল নায়িকা। তবে শুধু অভিনয় নয়, রাজনৈতিক দিক থেকেও সফলতার সিঁড়ি ছুঁয়েছেন তিনি। কম বয়সেই সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন অভিনেত্রী। সকাল সন্ধ্যে দুদিকের কাজ নিয়ে একপ্রকার চরম ব্যস্ত থাকেন অভিনেত্রী। সঙ্গে আবার শখের মডেলিং। আর এই ব্যস্ততা থেকে ফুরসৎ মিললেই ফেলে আসা দিনে ফিরে যান অভিনেত্রী। যে দিনগুলি ছিল পাহাড়ের কাছাকাছি, আনন্দের কাছাকাছি, বাবার কাছাকাছি থাকার দিন। আর এমনই এক শৈশবের মুহূর্ত ভক্তদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন অভিনেত্রী।
পৃথিবীতে বাবা ও মেয়ের সম্পর্কের মাধুর্যতা কারো অজানা নয়। এই নিয়ে নানা সময় নানা কবিতা, গান লেখা হয়েছে। অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তীও তার ব্যতিক্রম নয়। তাই বাবার সাথে একটি ছবি দেখে তিনি নিজেই হয়ে পড়েছেন স্মৃতিমেদুর। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, ছোট্ট মিমিকে কোলে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন তার বাবা অরুণ চক্রবর্তী। খুদে অভিনেত্রীর পরনে গোলাপি ফ্রক। মাথায় পাতলা চুলের আস্তরণ, চোখভর্তি কাজলরেখা, কপালেও কাজলের নজরটিকা। অন্যদিকে তার বাবার পরনে পেঁয়াজ রংয়ের খদ্দরের পাঞ্জাবি। মেয়েকে কোলে নিয়ে কিছু বলছেন তিনি- এমন মুহূর্তেই ছবিটি তোলা হয়েছে। আর এই ছবি বারবার অভিনেত্রীকে টেনে নিয়ে যায় ফেলে আসা দিনগুলিতে। তাই হয়তো বারবার বিশেষ দিনে বাবার সাথে শৈশবের মুহূর্ত ভক্তদের সঙ্গে ভাগ করে নেন অভিনেত্রী।
প্রসঙ্গত, ১৯৮৯ সালে জলপাইগুড়িতে জন্মগ্রহণ করেন অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। তারপর পারিবারিক কারণে তার শৈশব কাটে অরুণাচল প্রদেশে। তবে স্কুল জীবন ফের উত্তরবঙ্গেই কাটে তার। কলেজ জীবনে কলকাতা পাড়ি দেন। সেখান থেকেই মডেলিং ও অভিনয় জগতে পা রাখা। ২০১০ সালে ছোট পর্দায় এবং ২০১২ সালে বড় পর্দায় ডেবিউ করেন তিনি। ২০১৯ সালে শুরু হয় তার রাজনৈতিক কেরিয়ার।
#HappyFathersDay2022 pic.twitter.com/gn9Sa0zwia
— Mimi chakraborty (@mimichakraborty) June 19, 2022