মোহর-শঙ্খদীপের মাঝে এল নতুন কাঁটা!
রাত ৮টা বাজলেই খড়কুটো শেষ হয়ে মোহর শুরু। কলেজ অধ্যাপক আর কলেজ পড়ুয়ার ঝগড়া। আর এই ঝগড়া থেকেই প্রেমের সূত্রপাত। কলেজছাত্রী মোহর আর তার শিক্ষক শঙ্খদীপ স্যারের প্রেমের কাহিনী এই সিরিয়ালে উঠে এসেছে। তার সাথে সাথেই সম্পর্কের টানাপোড়েনের মধ্য দিয়েই বিয়ের পরিণতি পেয়েছে তাদের জুটি। মোহদীপের মোহে ইয়ং জেনারেশন অবধি মুগ্ধ।
১বছর পর সেই প্রেমের পরিণয় হয়েছে। মোহর ধারাবাহিকের নায়ক নায়িকা মোহর আর শঙ্খদীপের বিয়ে হয়েছে। কিন্তু বিয়ের পর একের পর এক টানটান উত্তেজনামূলক পর্ব। বৌভাত শেষ হতেই কলেজে ঘটে গেল এক বড় দুর্ঘটনা। কলেজের এক পড়ুয়াকে শঙ্খদীপের কাকার হাতে হেনস্তা হতে হয়েছিল। আর এর প্রতিবাদ করেন মোহর। এরপর নানা ঝামেলায় মোহদীপের সম্পর্কে আস্তে আস্তে দুরত্ব আসে। এমনকি মোহর আর শঙ্খদীপের ডিভোর্স হওয়ার মতো পর্যায় চলে যায়। অবশ্য শঙ্খ অসুস্থ হওয়াতে সব ঝগড়ার অবসান ঘটানোর চেষ্টা করে পরিচালক মশাই।
হ্যাঁ এসিপি স্যার মোহরের জলপাইগুড়ি যাওয়ার পথে তাকে আটকে শঙ্খর সাথে দেখা করার সুযোগ করে দেয়। প্রিয় নায়ক নায়িকার মিলনে খুশি হয় দর্শকেরা। কিন্তু তারপরে আবার বিনা মেঘে বজ্রপাতের পর মোহরকে কিডন্যাপ করে কিছু গুন্ডা। এবং তাঁর গুলি লাগে মোহরের। মোড় ঘুরে যায় সিরিয়ালের, এবং শঙ্খদীপ কান্নায় ভেঙে পড়েন। এখন দর্শকেরা চিন্তায় তাদের মোহদীপকে নিয়ে। এরপর মোহর সুস্থ হয়ে ওঠে। আপাতত এখন এদের প্রেম জমিয়ে চলছে।
এতদিন দর্শক মোহদীপের ভালোবাসার কাঁটা হিসেবে দেখেছে শ্রেষ্ঠা ম্যাডামকে। কিন্তু এরপর গল্পের মোড় ঘোরাচ্ছেন পরিচালক মশাই। এবার আর শ্রেষ্ঠা না মোহদীপের মাঝে আসতে চলেছে ভাস্বর চ্যাটার্জি না থুরি রাহুল চচট্টোপাধ্যায়। শঙ্খের পুরোনো শত্রু এন্ট্রি নিতে চলেছে। গল্পের নায়কের সাথে রাহুলের সম্পর্ক নেই খুব একটা ভালো। শঙ্খের সাথে বদলা নেওয়ার জন্য গল্পে এন্ট্রি ভিলেনের। এদিকে কলেজে প্রথম দিন এসেই ক্লাসের টপ ছাত্রী মোহরের দিকে নজর দিচ্ছেন রাহুল স্যার। তাহলে কি আবার মোহর আর শঙ্খের মধ্যে ফের ভুল বোঝাবুঝি শুরু হবে রাহুলের হাত ধরে। পুরোনো বোঝাপড়া মেটাতেই সে পড়াতে এসেছে মোহরের কলেজে। এর পর গল্পে কি আসতে চলেছে তার জন্য গল্পের পরবর্তী চিত্রনাট্যের দিকে নজর রাখতে হবে।