প্রতীক্ষাই বিষ দিয়েছে ভাসুরকে, আদালতেই নির্দোষ প্রমাণিত হবে শিমুল!
জমজমাট পর্ব চলছে ‘কার কাছে কই মনের কথা’ (Kar Kache Koi Moner Kotha) সিরিয়ালে। পরাগের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ হওয়ার পরেও শাশুড়ি আর ‘স্পেশ্যাল চাইল্ড’ ননদের জন্য শ্বশুরবাড়িতেই থেকে যায় শিমুল। এদিকে ডিভোর্স হতে না হতেই দ্বিতীয় বিয়ের তোড়জোড় শুরু করে দেয় পরাগ। সব অপমান অসম্মান সয়েও ওই বাড়িতেই পড়ে ছিল শিমুল। কিন্তু বিয়ের দিন ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হয় তাকে। পরাগকে বিষ দেওয়ার অভিযোগে জেলে যেতে হয় শিমুলকে।
দর্শকরা যদিও জানেন যে আসলে পরাগকে বিষ কে দিয়েছিল। সিরিয়ালে দেখানো হয়েছে, পরাগের ভাই পলাশ এবং ভাইয়ের বউ প্রতীক্ষা মিলেই শিমুলকে রাস্তা থেকে সরাতে এই ভয়ঙ্কর পরিকল্পনা করেছে। এবার সিরিয়ালের সাম্প্রতিক পর্বে দেখানো হয়েছে, আদালতে তোলা হয়েছে শিমুলকে। তার হয়ে যে আইনজীবী লড়ছেন তিনি এবং বিরোধী পক্ষের আইনজীবীর মধ্যেও আবার রয়েছে ব্যক্তিগত জীবনে তিক্ততা এবং প্রতিযোগিতার সম্পর্ক।
পরাগদের আইনজীবী অনির্বাণ সেন প্রথমেই বলেন, শিমুলের ব্যাপারে তিনি সবটাই জানেন। আর পরাগ তার সঙ্গে কী কী করেছে সেটাও তিনি জানতে চান স্পষ্ট ভাবে। নয়তো পরাগদেরই ক্ষতি হবে। ভয় পেয়ে পরাগ নিজের পক্ষে সাফাই গেয়ে শিমুলের বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ তুলতে গেলেও সত্যিটা ধরে ফেলেন দুঁদে উকিল অনির্বাণ সেন। শুধু তাই নয়, তিনি স্পষ্ট বলে ওঠেন, শিমুল যে এই কাজ করতে পারে না সেটাও তিনি বুঝতে পারছেন। একটা ভালো মেয়ের সঙ্গে তারা মানিয়ে নিতে পারছে না কারণ তারা হয়তো কালো।
আইনজীবীর কথা শুনে প্রতীক্ষা রীতিমতো নার্ভাস হয়ে পড়ে। তাকে ভয় পেতে দেখে অনির্বাণ সেন প্রশ্ন করে বসেন, তিনি এত নার্ভাস হচ্ছেন কেন? তিনিই অপরাধটা করেননি তো? এই পর্ব দেখে দর্শকদের একাংশ মনে করছেন, শেষমেষ হয়তো অনির্বাণ সেনই খুঁজে বের করবেন যে আসলে শিমুলকে প্রতীক্ষাই ফাঁসিয়েছে। তাঁর অভিযোগ মুক্ত হওয়ার পর্ব দেখার জন্য অপেক্ষা করে রয়েছেন দর্শকরা।
View this post on Instagram