পরাগকে ডিভোর্স দিয়ে শতদ্রুর সঙ্গে সংসার ছাড়বে শিমুল! আগেই ফাঁস ধামাকাদার প্রোমো
বাংলা সেরা হওয়ার লড়াইয়ে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে প্রথম সারির দুই চ্যানেলই। ফেরার সিংহাসনে বসে কে এই বছরটা শেষ করতে পারে সেটাই দেখার অপেক্ষায় রয়েছেন দর্শকরাও। এই মুহূর্তে সবথেকে জনপ্রিয় সিরিয়ালগুলির তালিকায় অনায়াসে জায়গা করে নেবে জি বাংলার ‘কার কাছে কই মনের কথা’ (Kar Kache Koi Moner Kotha)। মাত্র কয়েক মাসেই ঘরে ঘরে দর্শকদের প্রিয় হয়ে উঠেছে এই সিরিয়াল। শিমুলের কষ্ট, তার প্রতিবাদের সঙ্গে একাত্ম হয়ে উঠেছেন দর্শকরা।
আর পাঁচটা সিরিয়ালের থেকে একটু ভিন্ন ধরণের গল্প বলে কার কাছে কই মনের কথা। বিয়ের পর শ্বশুরবাড়িতে এসে একটা মেয়েকে কী কী পরিস্থিতিতে পড়তে হয় সেটাই তুলে ধরা হয়েছে গল্পে। স্বামী ভালোবাসে না তাকে। দিনরাত অত্যাচারিত হয়ে, দেওরের অপমান শুনে পালটা রুখে দাঁড়ায় শিমুল। শাশুড়ির অনেকটা বদলালেও স্বামী, দেওর কাউকেই বদলাতে পারেনি সে। এমনকি তাকে খুন করার চেষ্টা পর্যন্ত করা হয়েছে।
সম্প্রতি দেখা গিয়েছিল, পরাগ, পলাশ এবং নববিবাহিতা প্রতীক্ষা ষড়যন্ত্র করে ফাঁসাবে শিমুল আর তার প্রাক্তন প্রেমিক শতদ্রুকে। তাকে বাড়িতে ডেকে এনে লুকিয়ে প্রতীক্ষার আশীর্বাদী গয়না ভরে দেবে তার ব্যাগে। আর তারপর সবার সামনে শিমুল আর শতদ্রুকে চোর বলে মিথ্যে অভিযোগ করে অপমান করবে। শিমুলের শাশুড়ি মধুবালাও সন্দেহ করবেন নিজের বউমাকে। কিন্তু সেই পর্ব দেখানোর আগেই চলে এলো নতুন প্রোমো।
প্রোমোতে দেখা যায়, নতুন বউ প্রতীক্ষাকে সংসারের খুঁটিনাটি বোঝাচ্ছে শিমুল। তখনই তার শাশুড়ি এসে বলে, প্রতীক্ষা চাকরি করা মেয়ে। সে কি আর সংসার ঠেলবে! তখন শিমুল বলে ওঠে, ‘এই সংসারে আমার প্রয়োজন ফুরিয়েছে। এবারে আমাকে মুক্তি দাও মা’। এদিকে শতদ্রু এসে দাঁড়ায় দরজার সামনে। শিমুল বলে চলে, এই মিথ্যে সম্পর্ক থেকে সে বেরোতে চায়। পরাগকে সে ডিভোর্স দেবে। বন্ধু হিসেবে শতদ্রু তো অন্তত তার পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু শিমুলের মুখে একথা শুনে সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েন তার শাশুড়ি। কাঁদতে কাঁদতে তিনি বলেন, শিমুল তার একমাত্র ভরসা। তাকে একা ফেলে সে যেন না চলে যায়। নতুন প্রোমো দেখেই গুঞ্জন শুরু হয়ে গিয়েছে দর্শক মহলে। কেউ কেউ বলছেন, শিমুলের উচিত শতদ্রুর হাত ধরে এই সংসার ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়া। তার শাশুড়ি আবার দুদিন পর তাকে সন্দেহ করবেন। এবার শেষমেষ শিমুল কী করে সেটাই দেখার।